ঢাকার চেয়ে চারগুণ বড় আইসবার্গ ভেঙে পড়লো অ্যান্টার্কটিকায়
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ২০ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার
অ্যান্টার্কটিকায় একটি আইস শেল্ফ থেকে বিশ্বের বৃহত্তম একটি আইসবার্গ ভেঙে গেছে। আইসবার্গটি বর্তমানে ওয়েডডিল সাগরে ভাসছে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির বরাতে এই তথ্য প্রকাশ করে আলাবারিয়া নিউজ।
বুধবার (১৯ মে) ইউনিভার্সিটি অব সোয়ানসি ও ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভিস জানায়, ‘এই আইসবার্গ বা বরফখন্ডের ওজন এক ট্রিলিয়ন টন এবং আয়তন ৫ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার’। যা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার (১৪৬৩ বর্গকিলোমিটার) চেয়ে চারগুণ বড়। অ্যান্টার্কটিকার লারসেন সি আইস শেল্ফ থেকে এটি ভেঙে পড়ে। স্যাটেলাইটের ছবি থেকে তা নিশ্চিত করা হয়।
এই আইসবার্গটির নাম দেয়া হয়েছে এ-৭৬, যাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইসবার্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এর আগে সবচেয়ে বড় আইসবার্গ হিসেবে বিবেচনা করা হতো এ-২৩এ নামে ৩৮৮০ বর্গকিলোমিটারের বরফখন্ডকে। সেটিও এখন ওয়েডডিল সাগরে ভাসছে।
গতবছরের নভেম্বরে দক্ষিণ আটলান্টিক দ্বীপের এ-২৩এ আইসবার্গটি ভেঙে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে হাজার হাজার পেঙ্গুইনের জীবন। কেননা এই্ জায়গাটি তাদের খাদ্য সংগ্রহের জায়গা বলে বিবেচিত করা হয়।
এর আগে এ৬৮এ নামের একটি ১৬০ কিলোমিটার লম্বা এবং ৪৮ কিলোমিটার চওড়া আইসবার্গ লারসেন সি আইস শেল্ফ থেকেই ভেঙে পড়ে। যেটি কোন প্রাণির ক্ষতির কারণ না হলেও চিন্তার ভাজ ফেলে জলবায়ু গবেষকদের মুখে। কেননা পরীক্ষা করে দেখা যায় অ্যান্টার্কটিকার সে অংশটি অন্য যে কোন জায়গার চেয়ে উষ্ণ হয়ে উঠেছে।
১৯ শতকের পর থেকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। যা খরা, তাপ, ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়াতে যথেষ্ট। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো অ্যান্টার্কটিকার উপরের বাতাস দ্বিগুণেরও বেশি উষ্ণ হয়েছে।
লারসেন সি আইস শেল্ফ নামক জায়গাটি গত ১০ হাজার বছর ধরে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ১৯৯৫ সালে প্রথমবার সেখানে ভাঙন সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ২০০২, ২০০৮, ২০০৯ এবং সর্বশেষ ২০২১ সালে বড় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে হাইড্রোফ্রাকচারিং নামক এক প্রক্রিয়ার কারণে এমন আইসবার্গ ভেঙে পড়ে। এ্ প্রক্রিয়ায় উপরিভাগের উষ্ণতা বরফের চেয়ে ভারী পানিতে প্রভাব ফেলে ,তখন ফাটল ধরে আইসবার্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।