অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা হয়রানির নিন্দা ও প্রতিবাদ মিডিয়া এডুকেটরস নেটওয়ার্কের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:০৪ এএম, ১৯ মে ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৭:৩৭ এএম, ১৯ মে ২০২১ বুধবার

রোজিনা ইসলাম, ছবি: প্রথম আলো

রোজিনা ইসলাম, ছবি: প্রথম আলো

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও হয়রানি করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার শিক্ষকরা। শতাধিক শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত ‘মিডিয়া এডুকেটরস নেটওয়ার্ক’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে এই বিবৃতি মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও পরবর্তী সময়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করার যে খবর সংবাদমাধ্যমে আসছে তাতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছেন। একজন পেশাদার সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণকে অমানবিক ও অপেশাদারি উল্লেখ করে তাতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষকরা।

দুর্নীতি একটি রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। বিশেষ করে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার যে কৌশল ও পদক্ষেপের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে, কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দুর্নীতি সেই অগ্রযাত্রাকে তীব্রভাবে ব্যাহত করছে, মত শিক্ষকদের।

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, এ অবস্থায় স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দুর্নীতি নিয়ে রোজিনা ইসলামের সাম্প্রতিক সময়ে করা কিছু প্রতিবেদন বরং সরকার, রাষ্ট্র ও জাতির সার্বিক কল্যাণে অবদান রেখেছে। 

রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে এবং তার অনুমতি ছাড়াই ছবি-ভিডিও তুলে সামাজিকভাবে তাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার মানবিকতাও দেখানো হয়নি। শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে আরেক দফা হয়রানি করা হয়েছে, বিবৃতিতে বলেন শিক্ষকরা।

মিডিয়া এডুকেটরস নেটওয়ার্ক মনে করছে, রোজিনা ইসলামের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা শুধু সাংবাদিকতার ওপরই তীব্র আঘাত নয়, বরং তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

এই ঘটনাকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সুশাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন: 

অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার
ড. শেখ শফিউল ইসলাম, শিক্ষক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
মাধব দীপ, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
মামুন আ. কাইউম, শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
তাবিউর রহমান প্রধান, শিক্ষক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
রাকিব আহমেদ, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
শেখ আদনান ফাহাদ, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
রাজীব নন্দী, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এম মাহবুব আলম, শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)
তপন মাহমুদ লিমন, শিক্ষক, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি
মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, শিক্ষক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
সালমা আহমেদ, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সুমাইয়া শিফাত, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সারা মনামি হোসেন, শিক্ষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
মীর মো. ফজলে রাব্বি, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
নিশাত পারভেজ, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আমিনা খাতুন, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
উজ্জল তালুকদার, শিক্ষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
মো. রহমতুল্লাহ, শিক্ষক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বিউটি মণ্ডল, শিক্ষক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
সহিবুর রহমান, শিক্ষক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
ফরহাদ উদ্দিন, শিক্ষক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
মৃধা মো. শিবলী নোমান, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মো. সারোয়ার আহমাদ, শিক্ষক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মৌসুমী খাতুন, শিক্ষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
মনিরা বেগম, শিক্ষক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
মাহদী আল মুহতাসিম, শিক্ষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
শরীফুল ইসলাম, শিক্ষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
শামিম হোসেন, শিক্ষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
অর্ণব বিশ্বাস, শিক্ষক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মাহমুদুল হাসান, শিক্ষক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ফারজানা তাসনিম পিংকি, শিক্ষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
মো. রুমান শিকদার, শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
শেখ আবু রায়হান সিদ্দীকী, শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মাজিদুল ইসলাম, শিক্ষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
রেজাউল করিম, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আফতাব হোসেন, শিক্ষক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
রাশেদুল ইসলাম, শিক্ষক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
মো. সাঈদ আল-জামান, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সালমা সাবিহা, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
কাজী এম. আনিছুল ইসলাম, শিক্ষক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়