‘সূত্রধর’ এক পরাবাস্তব ভূখণ্ডের গল্প
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১৬ মে ২০২১ রোববার
‘সূত্রধর’ এক পরাবাস্তব ভূখণ্ডের গল্প, যেখানে পায়ের নীচে মাটি নেই, মাথার উপরে আকাশটা প্রায় মাথা ছুঁয়ে থাকা কংক্রিটের জঞ্জাল, তাই মাথা উঁচু করা যায় না, সামনে-পেছনে-চারপাশে বাতাসহীন জলের বুদবুদ, সেই বুদবুদে দম হয়তো নেওয়া যায়, জীবনও হয় যাপিত; তারপরও কেউ কেউ বুঝতে পারেন এ ভূখণ্ড তারা আসলে ফেলে এসেছিলেন অনেক বছর আগে; একদিন শ্যামলে-সুন্দরে-সবুজে ঘর বেঁধেছিলেন তারা, কিন্তু ঘোড়ায় চড়ে এবং শূন্যে ভাসা বহুমুখি সেতুগুলো পেরিয়ে ফেলে আসা ও বাতিল করে দেওয়া অতীত কীভাবে কীভাবে আবার প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে শরীরে-মনে-মগজে ঢুকে পড়েছে; তাই এখন বধির কিংবা নৈঃশব্দকাল, কেউ অস্ত্রোপচারে কেউ অস্ত্রোপচার ছাড়াই-- পা-সকল উল্টোদিকে কিংবা পা-সব ঠিকই আছে, বরং চোখগুলো পেছনে অথবা স্বেচ্ছাঅন্ধত্ব; তারপরও হয়তো মা বলেই পাহাড়ের ওপাশে লুকিয়ে থাকা আলোর খোঁজ করেন রোজি রোজারিও, ‘সূত্রধর’ তাই শেষ পর্যন্ত এক ‘মা’র গল্প, পৌরাণিক যুগ থেকে পুনর্জন্ম নেওয়া এক মা।
প্রচ্ছদ: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
(তানভীর আশিকের তোলা আলোকচিত্র ব্যবহার করে)
প্রকাশক: আবিষ্কার প্রকাশনী
দাম: ২০০ টাকা