ডেঙ্গু: উপসর্গ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ১৫ মে ২০২১ শনিবার
গ্রীষ্মের তাপদাহ কেবল গরম নিয়ে আসে না। সাথে করে আনে ডায়েরিয়া, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগও।
তারমধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু যা ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত অ্যাডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশ, বিশেষত ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি। আর এ কারণেই ডেঙ্গুর উপসর্গ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা উচিত।
উপসর্গ
সাধারণ ডেঙ্গুর উপসর্গ সংক্রমনের চার থেকে ছয়দিনের মধ্যে দেখা দেয়, সর্বোচ্চ ১০ দিনও হতে পারে। তার উপসর্গ হলো-
* হঠাৎ উচ্চ জ্বর
* গুরুতর মাথাব্যথা
* চোখ ব্যথা
* গুরুতর হাড় ও পেশী ব্যথা
* ক্লান্তি
* বমি বমি ভাব
* শ্বাসকষ্ট
* জ্বরের দুই থেকে পাঁচদিন পর ত্বকের জ্বালাপোড়া
* হালকা রক্তপাত
কখনও কখনও রোগের লক্ষণ এতটাই সামান্য থাকে যে তা অন্যান্য কোন সাধারণ রোগের মতো মনে হতে পারে। তবে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকিও থাকে।
চিকিৎসা
ভারতে বিখ্যাত প্রেকটো হাসপাতালের পালমোনোলজিস্ট ডা. পুনীত গুপ্তা বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আলাদা কোন ওষুধ নেই। জ্বর আছে মনে হলে প্যারাসিটামল খাবে। তবে অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন ও নিমুস্লাইডের মতো ব্যথার ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
এসময় রোগীর অনেক বেশি বিশ্রাম প্রয়োজন। প্রচুর পরিমাণ পানির পাশাপাশি নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। যদি চিকিৎসকের সাথে কথা বলার পর জ্বর বাড়তে থাকে তবে হাসপাতাল ভর্তি হওয়া উচিত।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ
ডেঙ্গু রোধের জন্য এখনও কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় সংক্রামক মশা অ্যাডিসের কামড় প্রতিরোধ করা। তারজন্য করণীয় হলো-
• সম্ভব হলে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে বসবাস করা।
• বাসার বাইরে এবং ভিতরে মশার কামড় প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করুন।
• বাসার বাইরে থাকলে লম্বা প্যান্ট ও পুরো হাতার শার্ট পরুন।
• মশারি ব্যবহার করুন
• মশার বাচ্চা জন্ম হতে পারে এমন জায়গায় পানি জমতে দিবেন না। যেমন, পুরনো গাড়ির টায়ার, পানির বোতল, ফুলদানি ইত্যাদি।
• যদি বাড়ির কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় তবে অন্যদের মশার কামড় থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।