ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৯
খ ম হারূন
প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ১৩ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০৭:৪৫ পিএম, ৩১ মে ২০২১ সোমবার
শঙ্কিত পদযাত্রা
ধারাবাহিক আত্মকথা
। খ ম হারূন ।
খ্যাতিমান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব খ ম হারূন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চের সাথে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বর্ণময় সময়ে যে কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজকের নাম ছোট পর্দার কল্যাণে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে খ ম হারূন তাদের একজন। দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। এখনো রয়েছেন সমান সক্রিয়। দেশের গণমাধ্যম জগতের বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের আত্মকথা ‘শংকিত পদযাত্রা’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে অপরাজেয় বাংলা’য়।
[পর্ব-২৯]
১৯৮০ সালে যখন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক পদে যোগদান করি তখন আমার প্রযোজনা সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় এম এ রশীদকে। রশীদ তার কিছুদিন আগে এমএ পরীক্ষা সম্পন্ন করে বিটিভিতে যোগদান করে। বিটিভিতে প্রযোজকদের কাজের কতোগুলি পদ্ধতি আছে। প্রত্যেক প্রযোজকের সাথে দায়িত্ব পালন করে একজন প্রযোজনা সহযোগী ও দুজন সহকারী। শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা, শিল্পী সম্মানী প্রস্তাব তৈরী করা, পান্ডুলিপি কপি করার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন দাপ্তরিক চিঠি তৈরী করাসহ প্রযোজনা সংক্রান্ত সকল কাজেই একজন প্রযোজক তার প্রযোজনা সহযোগীর উপর নির্ভর করেন। তখন প্রযোজনা সহযোগীদের মধ্য থেকে শতকরা দশজন বিভাগীয় পরীক্ষা দিয়ে প্রযোজক হতে পারতেন। তার বেশী নয়। সে সময় অনেক দক্ষ প্রযোজনা সহযোগী ছিলো বিটিভিতে। ২০০২ সালের পর অবশ্য এসব নিয়মে ব্যতিক্রম ঘটেছে। ২০০৯ সালে একজন ডিউটি অফিসার, যিনি লগবই লিখতেন এবং শিল্পীদের চেকের টাকা বিতরন করতেন, পরবর্তিতে উপস্থাপন শাখায় দায়িত্ব পালন করতেন, তিনি বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ‘মহা অধ্যক্ষ’ (জিএম) পদ অলঙ্কৃত করেছিলেনন। এরপর অদক্ষতা ধীরে ধীরে গ্রাস করতে থাকে এবং পেশাদারিত্ব হারিয়ে যেতে থাকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
বিটিভিতে আমি প্রথম মহা অধ্যক্ষ (জিএম) হিসেবে পাই মোস্তফা কামাল সৈয়দকে। ঢাকা কেন্দ্রের প্রথম মহা অধ্যক্ষ জামিল চৌধুরী (পাকিস্তান আমলে)। দেশ স্বাধীন হবার পর মুস্তাফা মনোয়ার ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তারপর খালেদা ফাহমী বিটিভির প্রথম মহিলা জিএম, যিনি ১৯৭৯ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে পরিচালক (অনুষ্ঠান) পদে পদোন্নতি পান। মোস্তফা কামাল সৈয়দ একনাগারে বারো বছরের বেশি জিএম পদে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করে গেছেন। তখন বাংলাদেশের একটি সৎ ও পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিভি ছিলো তুলনাহীন। ১৯৯১ সালে খালেদা ফাহমীর অবসর গ্রহনের পর মোস্তফা কামাল সৈয়দ প্রথমে পরিচালক (অনুষ্ঠান) এবং তারপর উপ-মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) পদে দায়িত্ব পালন করেন ২০০৩ সাল পর্যন্ত। এসময় তাকে বাধ্যতামূলেক অবসরে পাঠানো হয় উপ-মহাপরিচালক পদে অন্য কাউকে বসানোর উদ্দেশ্যে।
জিএম হিসেবে মোস্তফা কামাল সৈয়দ তার সব স্টাফ ও প্রযোজকদের দক্ষতা ও সততার সাথে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতেন। তিনি নিজে ভালো অনুষ্ঠান তৈরীর জন্য সব প্রয়োজকের অনুষ্ঠান প্রস্তাব ও নাটকের স্ক্রিপ্ট নিজে পড়ে দেখতেন এবং মতামত দিতেন। সকাল নয়টায় অফিসে ঢুকতেন, রাত আটটা-নয়টার আগে বের হতেন না। ১৯৯১ সালে জিএম হিসেবে যোগ দেন অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি নিজে প্রগতিশীল মানুষ। মোস্তফা কামাল সৈয়দের সকল গুণাগুণ তার মধ্যেও ছিলো। ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত করতেন এবং কাজের স্বাধীনতাও দিতেন। তার অনুপ্রেরনায় ‘সবিনয়ে জানতে চাই’ এর মতো একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান বিটিভিতে নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছিলে।
জিএম পদে এরপর এসেছেন নওয়াজিশ আলী খান, বরকতউল্লাহ ও কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী। প্রত্যেকেই নিজ নিজ নামে সুপরিচিত। গুণী নির্মাতা। প্রত্যেকেরই আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিলো বিটিভির মানদণ্ডকে সমুন্নত রাখার। কাজী আবু জাফর সিদ্দিকীর পর জিএম পদে দায়িত্ব পালন করেন আবু তাহের, আলী ইমাম, শেখ রিয়াজউদ্দিন বাদশা তারপর কামরুন্নেসা হাসান ও ফরিদুর রহমান। এরপর এই পদে আর কোনো গুণী নির্মাতাকে দেখা যায়নি। ‘মহা অধ্যক্ষ’ এই বাংলা শব্দটি ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয়ে যায়। জিএম শব্দটি টিকে থাকলেও এই পদের গুরুত্ব আর আগের মতো থাকেনি।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী ও ম হামিদকে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে (নিমকো) বদলি করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামি লীগ সরকার গঠনের পর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আর বিটিভিতে ফেরত আনা হয়নি। তবে কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী পরিচালক পদে ও ম হামিদ অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ পদে ফিরে এসেছিলেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। তাকে ফিরিয়ে না আনার মূল কারন বিটিভিতে তখন মহাপরিচালক পদের জন্য আরো অনেকের নাম ছিলো। তার মধ্য থেকে চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর ভাগ্য খুলে যায়। তিনি যেহেতু সে সময় কোনো সরকারী পদে ছিলেন না, সেহেতু তাকে বিটিভিতে চুক্তিভিত্তিক মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
১৯৯৬ সালে যখন শাহরিয়ার জেড আর ইকবাল বিটিভির মহাপরিচালক তখন বিটিভির কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে নিমকোতে (জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট) বদলি করা হয়। যেমন, বিটিভির জিএম - মুস্তাফিজুর রহমান, অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ - জিয়া আনসারী, কাজী কাইয়ূম, সরকার ফিরোজউদ্দিন। এদের সবার সাথে পরবর্তি মহাপরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিলো, কিন্তু তিনি তাদেরকে বিটিভিতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনে উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
২০০০ সালের শেষ দিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে বিটিভির ডিপিসি মিটিং হবে। তখন সচিব ছিলেন এম আই চৌধুরী। আমার নাম প্রমোশন লিস্টে অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ পদের জন্য প্রথমেই ছিলো আর ম হামিদ এর নাম ছিলো পরিচালক পদের জন্য। সে সময়ে আমি নিশ্চিত মনে কামারখালি, মাগুরা, ঝিনাইদাহ এই সব অন্চলে যাই মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের উপর একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ নির্মাণ করার জন্য। ম হামিদ ঐ সময়ে ময়মনসিংয়ে যান।
কাজের মাঝে একদিন আমার প্রাক্তন প্রযোজনা সহযোগী, সে সময়ে প্রযোজক পদে কাজ করছেন, সিরাজুল ইসলাম আমাকে ফোন করে খবর দিলেন, আমার ও ম হামিদ এর নাম প্রমোশন লিস্টে নেই। আমাদের বাদ দিয়েই ডিপিসি মিটিং হয়ে গেছে। আামি ঐ রাতেই মাগুরা থেকে ঢাকা চলে এলাম। হামিদ ভাইকেও ফোন করে খবরটা জানালাম।
পরদিন আমি ও ম হামিদ একসাথে তথ্য মন্ত্রনালয়ে গেলাম। সেসময়ের তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ তার রুমেই ছিলেন। আমরা তার সাথে দেখা করে ডিপিসির বিষয়টা খুলে বললাম। তিনি কিছুটা অবাকই হলেন। প্রমোশন সংক্রান্ত ফাইল তখনই তার রুমে এসেছে মন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য। তিনি সচিব এম আই চৌধুরীকে তার রুমে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, সব থেকে সিনিয়র ও যোগ্য দুজনকে বাদ দিয়ে কেনো ডিপিসি করা হয়েছে। এম আই চৌধুরী কিছু বলতে পারছেন না। ফাইল দেখে বললেন বিটিভির ডিজি এই দুজনের নাম পাঠান নাই। তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ সাথে সাথে মহাপরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীকে ফোন করেন। ডিজি সাহেব ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কি বলছেন বুঝতে না পারলেও সেদিন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এর রাগ দেখেছিলাম। নতুন ফাইল তৈরী করে সালাহউদ্দিন জাকী ঐ দিনই তথ্য মন্ত্রণালয়ে চলে আসলেন। তারপর মন্ত্রণালয়ে জরুরী ভিত্তিতে ডিপিসি মিটিং করে দিনে দিনেই প্রমোশন প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হয়।
সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী ডিজি পদের দায়িত্ব নেবার কিছুদিন পর প্যাকেজ প্রগ্রামের আওতায় বিটিভিতে প্রচুর নিম্নমানের বিদেশী চলচ্চিত্র ও টিভি ধারাবাহিক সম্প্রচার শুরু করা হয়। বিটিভির নিজস্ব অনুষ্ঠান কমে গেলো। আমি আবেদ খানের উপস্থাপনায় ‘ঘটনার আড়ালে’ নামে একটি অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম সেই ১৯৯৬ সালে। প্যাকেজ প্রোগ্রামের ধাক্কায় এই জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটিও বন্ধ হয়ে গেলো ১৯৯৯ সালে। এরমাঝে বিটিভির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা প্যাকেজ প্রোগ্রামের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আন্দোলন শুরু করে। তাদের ক্ষোভ ডিজি সালাহউদ্দিন জাকীর বিরুদ্ধে। ডিজির বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান, পোষ্টারিং, অবস্থান ধর্মঘট এইসব চলছে। মহাপরিচালক তখন বসতেন শাহবাগ সম্প্রচার ভবনের তিনতলায়। তার রামপুরা টিভি ভবনে যাওয়া বন্ধ করে দিলো কর্মচারীরা। কিন্তু সালাহউদ্দিন জাকী একজন শক্ত প্রকৃতির মানুষ। সহজে টলতেন না। তিনি পদত্যাগ না করে কর্মচারী নেতাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ঠুকে দিলেন। প্রথমে নেতাদের সাসপেন্ড করা হলো, তারপর গিয়াস, মুস্তাফা সহ ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারী চাকরীচ্যুত হলেন। প্রযোজক ফখরুল আবেদিন দুলালও বরখাস্ত হন কর্মচারীদের সাথে একাত্মতা ঘোষনার কারণে। এই দলে কাজী আবু জাফর সিদ্দিকীরও নাম ছিলো শোনা যায়। কিন্তু তিনি এই জাল থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।
পরবর্তিতে এই সব কর্মচারীদের করুণ পরিণতি দেখেছি। অনেকের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে কোথাও কাজ না পেয়ে না খেয়েও থেকেছেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে যখন কাজী আবু জাফর সিদ্দিীকী মহাপরিচালক পদে এবং আমি উপ-মহাপরিচালক পদে ফিরে আসি তখন আমরা সেই সব কর্মচারীদের কিছু কিছু কাজ দিয়ে আর্থিক সহায়তা দেবার চেষ্টা করেছিলাম, তবে কেউ আর চাকরিতে ফিরে আসতে পারেননি। অন্যদিকে প্রযোজক ফখরুল আবেদীন দুলাল এটিএন বাংলায় যোগদান করেছিলেন। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
১৯৯৬ সালে যে কজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিটিভি থেকে নিমকোতে বদলি হয়ে গিয়েছিলেন- জিয়া আনসারী, কাজী কাইয়ূম ও সরকার ফিরোজউদ্দিন, পরবর্তিতে তারা সবাই এটিএন বাংলায় যোগদান করেছিলেন। কিন্তু অপমানের ভার সইতে না পেরে অসময়ে এক এক করে সকলেই পরলোকগমন করেন। মুস্তাফিজুর রহমান অবশ্য ২০০২ সালে বিএনপি সরকারের আমলে বিটিভির মহাপরিচালক হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালের একুশে আগষ্ট শেখ হাসিনার সমাবেশের উপর গ্রেনেড হামলার পর, এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগকেই দোষারপ করে অনুষ্ঠান করতে রাজী না হওয়ায় এক রাতের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমানকে মহাপরিচালক পদ থেকে বিদায় নিতে হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন বিটিভি বার্তা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ হানিফ। তাকে অনেকেই বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে জানতেন।
প্রযোজক সিরাজুল ইসলামের কথা বলছিলাম। দীর্ঘদিন তিনি আমার অনুষ্ঠান সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। আমার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রচুর পরিশ্রম করতেন এবং পেশাদারিত্বের সাথে তার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করতেন। বয়সে আমার থেকে বছর দশেকের বড় ছিলেন, তারপরও আমাকে যথেষ্ট সম্মান করতেন। ২০০১ সালে আমি যখন বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক ও অনুষ্ঠান প্রধান, তখন একদিন সিরাজ ভাই আমার কাছে আসেন। কয়েকমাস আগে তিনি অবসর নিয়েছেন সিনিয়র প্রযোজক হিসেবে। এলপিআরে থাকাকালীন সময়ে জিএম কাজী আবু জাফর সিদ্দিীকী তাকে চলচ্চিত্র বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান প্রয়োজনা করার দায়িত্ব দেন। একটি অনুষ্ঠান তিনি মহাপরিচালকের নির্বাচিত একজন উপস্থাপিকাকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে দিয়ে উপস্থাপনা করিয়েছিলেন, নির্ধারিত দিনে নিয়মিত উপস্থাপিকা না আসার কারণে। এর ফলে মহাপরিচালক প্রচন্ড ক্ষেপে যান এবং তিনি জিএম কাজী আবু জাফর সিদ্দিকীকে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটা রিপোর্ট দিতে বলেন। তারপর মহাপরিচালক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তার পদাবনতির সুপারিশ করে একটি চিঠি পাঠান তথ্য সচিবের নিকট। একজন সিনিয়র প্রযোজকের যখন পদাবনতি হবে তখন অবসরকালীন পেনশনে তিনি আর্থিক দিক থেকে (কয়েক লক্ষ টাকা) ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। আমি তাকে উপদেশ দিলাম, আপনি এখনি মন্ত্রণালয়ে চলে যান, আমিও আসছি। সঠিক সময়ে বিষয়টি জানতে পারায় এই অঘটন ঠেকানো তখন সম্ভব হয়েছিলো।
চলবে...
আগের পর্ব পড়ুন
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৮
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৭
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৬
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৫
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৩
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২২
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২১
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২০
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৯
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৮
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৭
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৬
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৫
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১২
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১১
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১০
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৯
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৮
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৭
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৬
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৫
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩