পোস্ট কোভিডে আকুপাংচার, চীনা সনাতনী চিকিৎসা ঢাকায়
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪০ এএম, ৭ মে ২০২১ শুক্রবার আপডেট: ১১:৪৩ এএম, ৭ মে ২০২১ শুক্রবার
বাংলাদেশে পোস্ট কোভিড-১৯ জটিলতায় চীনা সনাতনী চিকিৎসা (টিসিএম) প্রয়োগ করা হচ্ছে। ঢাকার কোনো কোনো ক্লিনিকে এই চিকিৎসা চালু রয়েছে। কোনো কোনো রোগী যাদের করোনা নেগেটিভ হওয়ার এক বছর সময়ও পার হয়ে গেছে তারা কিছু জটিলতায় ভুগছেন যে ক্ষেত্র এই চিনা প্রাচীন পথ্য উপযোগী হচ্ছে। এমনই একটি ক্লিনিক সুওজি হেলথ কেয়ার লিমিটেড, যেখান থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের উদ্ধৃতও করা হয়েছে সিনহুয়ার খবরে। খবরটি দিচ্ছে সিনহুয়া। তারা বলছে, এখানে চিকিৎসা নিয়ে তারা পোস্ট কোভিড জটিলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।
চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে আকুপাংচার ও থেরাপিউটিক ম্যাসাজ।
কোনো কোনো রোগী যারা ১০ মাস এক বছর আগে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন, তাদের শরীরে দেখা দেওয়া জটিলতা সেরে উঠছে এই থেরাপিতে, রোগীদের উদ্ধৃত করে সিনহুয়ার দাবি।
জটিলতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনিয়মিত ঘুম ও মাথাব্যাথা।
"চীনা থেরাপি নেওয়ার পর আমি এখন বেশ ভালো আছি। আমার মাথাব্যাথা কমেছে, এবং রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে," বলছিলেন একজন রোগী।
তিনি জানিয়েছেন, এ জন্য মোট আটটি থেরাপি তিনি নেবেন, এবং তিনটি পেয়েই তিনি সুস্থ্য বোধ করছেন।
গত ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে এখান থেকে বিনামূল্যেও চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ক্লিনিকের চিকিৎসক এসএম শহিদুল ইসলামকেও উদ্ধৃত করা হয় খবরে। ১৯৯০ এর দশকে চীনের উহানের টং জি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রিধারী এই চিকিৎসক বললেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা রোগীদের ৬৩ শতাংশ ভয়ানক অবসাদগ্রস্ততায় ভোগেন। ২৬ শতাংশের ঘুমে বিঘ্ন দেখা দেয়। ২৩ শতাংশের ক্ষেত্রে মানসিক হতাশাগ্রস্ততা ও বিষন্নতা ভর করে।
শহিদুল ইসলামের মতে টিসিএম প্রয়োগের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরবর্তী এই সমস্যাগুলো দূর করা সম্ভব। এবং ঢাকায় এক্ষেত্রে তারা সাফল্য পাচ্ছেন।