কার্ল মার্কসের জন্মদিনে গভীরতম শ্রদ্ধা
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, রাজনীতিক
প্রকাশিত: ১১:৫৯ পিএম, ৫ মে ২০২১ বুধবার
নতুন পঞ্জিকা অনুসারে ১৮১৮ সালের ৫ মে ট্রিভস শহরে (প্রুশিয়াল রাইন অঞ্চল) কার্ল মার্কসের জন্ম হয়। তাঁর পিতা ছিলেন এডভোকেট, ইহুদী, ১৮২৪ সালে তিনি প্রটেস্টান্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। পরিবারটি ছিল সমৃদ্ধ ও সংস্কৃতিবান, তবে বিপ্লবী নয়। ট্রিভসের স্কুল থেকে পাশ করে মার্কস প্রথমে বন এবং পরে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, আইনশাস্ত্র পড়েন, কিন্তু বিশেষ করে অধ্যয়ন করেন ইতিহাস ও দর্শন। এপিকিউরাসের দর্শন সম্পর্কে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়-থিসিস পেশ করে ১৮৪১ সালে তিনি পাঠ সাঙ্গ করেন। দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে মার্কস তখনো ছিলেন হেগেলপন্থী ভাববাদী। …হেগেলের দর্শন থেকে এঁরা নাস্তিক ও বিপ্লবী সিদ্ধান্ত টানার চেষ্টা করতেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে মার্কস অধ্যাপক হবার আশায় বন শহরে যান। কিন্তু সরকারের প্রতিক্রিয়াশীল নীতির ফলে- … … মার্কস অধ্যাপক জীবন ছাড়তে বাধ্য হন। সে সময় জার্মানিতে বামপন্থী হেগেলবাদীদের মতামত অতি দ্রুত বিকশিত হয়ে উঠছিল। ল্যুডভিগ ফয়েরবাখ বিশেষ করে ১৮৩৬ সালের পর থেকে ধর্মতত্ত্বের সমালোচনা শুরু করেন এবং মোড় ফেরেন বস্তুবাদের দিকে, যা ১৮৪১ সালে তাঁর মনে (‘খৃষ্টধর্মের সারমর্ম’) প্রধান হয়ে ওঠে; ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘ভবিষ্যৎ দর্শনশাস্ত্রের মূলসূত্র’। ফয়েরবাখের এই সব রচনা সম্পর্কে এঙ্গেলস পরে লিখেছিলেন, এই সব বইয়ের ‘মুক্তি ক্রিয়া নিজের অভিজ্ঞতায় অনুভব করার মতো’। ‘আমরা সকলে’ (অর্থাৎ মার্কস সমেত বামপন্থী হেগেলবাদীরা) ‘তৎক্ষণাৎ ফয়েরবাখ-পন্থী হয়ে গেলাম’। এই সময় বামপন্থী হেগেলবাদীদের সঙ্গে যাঁদের কিছু কিছু মিল ছিল, রাইন অঞ্চলের এমন কিছু র্যাডিক্যাল বুর্জোয়া কলোন শহরে দি রাইনিশ গেজেট নামে সরকারবিরোধী একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন (বেরোয় ১৮৪২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে)। মার্কস ও ব্রুনো বাউয়েরকে পত্রিকাটির প্রধান লেখক হবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৮৪২ সালের অক্টোবরে মার্কস পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক হয়ে বন থেকে কলোনে চলে আসেন। মার্কসের সম্পাদনায় পত্রিকাটির বিপ্লবী-গণতান্ত্রিক প্রবণতা উত্তরোত্তর স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে এবং সরকার পত্রিকাটির ওপর প্রথমে দুইদফা ও তিনদফা সেন্সর ব্যবস্থা চাপায় এবং পরে ১৮৪৩ সালের ১ জানুয়ারি পত্রিকাটিকে একেবারেই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।… পত্রিকায় কাজ করে মার্কস বুঝলেন অর্থশাস্ত্রের সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট পরিচয় নেই, তাই তিনি সাগ্রহে এ বিষয়ে পড়াশুনা শুরু করলেন।
১৮৪৩ সালে ক্রয়েজনাখ শহরে মার্কস জেনি ফন ভেস্টফালেনকে বিবাহ করেন। জেনি তাঁর বাল্যবন্ধু, ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁদের বাগ্দান হয়েছিল। মার্কসের স্ত্রী প্রুশিয়ার একটি প্রতিক্রিয়াশীল অভিজাত পরিবারের মেয়ে। সর্বাধিক প্রতিক্রিয়াশীল এক যুগ- ১৮৫০-১৮৫৮ সালে এঁর বড়ো ভাই প্রুশিয়ার স্বরাষ্ট্র সচিব ছিলেন। … বিদেশ থেকে একটি র্যাডিকাল পত্রিকা বার করার জন্য মার্কস ১৮৪৩ সালের শরৎকালে প্যারিসে আসেন। ‘জার্মান-ফরাসী বার্ষিকী’ নামক এই পত্রিকাটির শুধু একটি সংখ্যাই বের হয়েছিল। জার্মানিতে গোপন প্রচারের অসুবিধা এবং… মতান্তরের ফলে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। এই পত্রিকায় মার্কস যেসব প্রবন্ধ লিখেছিলেন তাতে তখনই তিনি বেরিয়ে আসেন এমন এক বিপ্লবীরূপে, যিনি ‘বর্তমান সবকিছুর নির্মম সমালোচনা’, বিশেষ করে ‘অস্ত্রের সমালোচনা’ ঘোষণা করছে এবং আবেদন জানাচ্ছেন জনগণ ও প্রলেতারিয়েতের কাছে।
১৮৪৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস কয়েক দিনের জন্য প্যারিসে আসেন এবং তখন থেকে মার্কসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। উভয়েই তাঁরা প্যারিসের তদানীন্তন বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলির টগবগে জীবনে অত্যন্ত উদ্দীপ্ত অংশ নেন… এবং পেটি-বুর্জোয়া সমাজতন্ত্রের নানাবিধ মতবাদের সঙ্গে প্রবল সংগ্রাম চালিয়ে বিপ্লবী প্রলেতারীয় সমাজতন্ত্র অথবা কমিউনিজমের (মার্কসবাদের) তত্ত্ব ও কর্মকৌশল গড়ে তোলেন। … প্রুশীয় সরকারের দাবিতে ১৮৪৫ সালে বিপজ্জনক বিপ্লবী বলে মার্কসকে প্যারিস থেকে বহিষ্কৃত করা হয়। মার্কস ব্রাসেল্সে আসেন। ১৮৪৭ সালের বসন্তে তিনি ও এঙ্গেলস ‘কমিউনিস্ট লীগ’ নামে একটি গুপ্ত-প্রচার সমিতিতে যোগ দেন; লীগের দ্বিতীয় কংগ্রেসে (লন্ডন, ১৮৪৭ সালের নভেম্বর) তাঁরা অনন্যসাধারণ ভূমিকা গ্রহণ করেন এবং কংগ্রেস থেকে ভার পেয়ে তাঁরা সুপ্রসিদ্ধ ‘কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার’ রচনা করেন, ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা প্রকাশিত হয়। প্রতিভাদীপ্ত স্পষ্টতা ও উজ্জ্বলতায় এই রচনাটিতে রূপায়িত হয়েছে নতুন বিশ্ববীক্ষা, সমাজজীবনের ক্ষেত্রের ওপরও প্রযোজ্য সুসঙ্গত বস্তুবাদ, বিকাশের সব থেকে সর্বাঙ্গীন ও সুগভীর মতবাদ- দ্বান্দ্বিকতা, শ্রেণিসংগ্রাম এবং নতুন কমিউনিস্ট সমাজের শ্রষ্টা প্রলেতারিয়েতের বিশ্ব-ঐতিহাসিক বিপ্লবী ভূমিকার তত্ত্ব।
১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব শুরু হলে মার্কস বেলজিয়ম থেকে নির্বাসিত হন। আবার তিনি প্যারিসে চলে এলেন এবং মার্চ বিপ্লবের পর সেখান থেকে ফিরে যান জার্মানিতে, কলোন শহরেই। এইখানে প্রকাশিত হয় নিউ রাইনিশ গেজেট পত্রিকা, ১৮৪৮ সালের ১ জুন থেকে ১৮৪৯ সালের ১৯ মে পর্যন্ত; মার্কস ছিলেন তার প্রধান সম্পাদক। নতুন তত্ত্বের চমৎকার প্রমাণ পাওয়া গেল ১৮৪৮-১৮৪৯ সালের বিপ্লবী ঘটনা¯স্রোতে, যেমন তা সমর্থিত হয়েছে পরবর্তীকালে পৃথিবীর সব দেশের সমস্ত প্রলেতারীয় ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে। প্রথমে বিজয়ী প্রতিবিপ্লব মার্কসকে আদালতে অভিযুক্ত করে (১৮৪৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন) এবং পরে নির্বাসিত করে জার্মানি থেকে (১৮৪৮ সালের ১৬ মে)। মার্কস প্রথমে প্যারিসে গেলেন, ১৮৪৯ সালের ১৩ জুনের মিছিলের পর সেখান থেকেও পুনরায় নির্বাসিত হয়ে লন্ডনে আসেন এবং সেখানেই বাকি জীবন কাটান।
নির্বাসনে মার্কসের জীবন অত্যন্ত কষ্টে কাটে, মার্কস-এঙ্গেলস পত্রাবলিতে [১৯১৩ সালে প্রকাশিত] তা বিশেষ পরিষ্কার করে ফুটে উঠেছে। অভাব-অনটনে মার্কস ও তাঁর পরিবার একেবারে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ওঠেন; এঙ্গেলসের নিরন্তর আত্মোৎসর্গী অর্থ-সাহায্য না পেলে মার্কসের পক্ষে ‘পুঁজি’ বইখানি শেষ করা তো দূরের কথা, অভাবের তাড়নায় নিশ্চিতই তিনি মারা পড়তেন। তাছাড়া, পেটিবুর্জোয়া, সাধারণভাবে অপ্রলেতারীয় সমাজতন্ত্রের প্রাধান্যকারী মতবাদ ও ধারাগুলি মার্কসকে অবিরাম কঠিন সংগ্রামে বাধ্য করেছে এবং মাঝে মাঝে অতি ক্ষিপ্ত বন্য ব্যক্তিগত আক্রমণও প্রতিহত করতে হয়েছে তাঁকে …। দেশান্তরী চক্রগুলি থেকে আলাদাভাবে মার্কস তাঁর একাধিক ঐতিহাসিক রচনায়… নিজের বস্তুবাদী তত্ত্ব নিরূপণ করেন, এবং প্রধানত অর্থশাস্ত্রের চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। এই বিজ্ঞানটির ক্ষেত্রে মার্কস তাঁর ‘অর্থশাস্ত্রের সমালোচনা প্রসঙ্গে’ (১৮৫৯) এবং ‘পুঁজি’ (খ–১, ১৮৬৭) রচনা করে বিপ্লব সাধন করেছেন।
ষষ্ঠ দশকের শেষে ও সপ্তম দশকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুনরুজ্জীবনের যুগ মার্কসকে আবার ব্যবহারিক কার্যকলাপে ডাক দেয়। ১৮৬৪ সালে (২৮ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে বিখ্যাত প্রথম আন্তর্জাতিক,‘আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী সমিতি’, প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কস ছিলেন এই সমিতির প্রাণস্বরূপ, তার প্রথম ‘অভিভাষণ’ এবং বহুবিধ প্রস্তাব, ঘোষণা ও ইশতেহার তাঁরই লেখা। বিভিন্ন দেশের শ্রমিক আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ করে, বিভিন্ন ধরনের অপ্রলেতারীয় প্রাক-মার্কসীয় সমাজতন্ত্রকে (মাৎসিনি, প্রধোঁ, বাকুনিন, ইংল্যান্ডের উদারনৈতিক ট্রেড ইউনিয়নবাদ, জার্মানিতে লাসালপন্থীদের দক্ষিণ দিকে দোদুল্যমানতা, ইত্যাদি) সংযুক্ত কার্যকলাপের পথে চালানোর চেষ্টা করে এবং এই সব সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগুলির মতবাদের সঙ্গে সংগ্রাম করতে করতে মার্কস বিভিন্ন দেশের শ্রমিক শ্রেণির প্রলেতারীয় সংগ্রামের একটি একক কর্মকৌশল গড়ে তোলেন। যে প্যারিস কমিউনের অমন সুগভীর, যথার্থ, চমৎকার, কার্যকরী, বিপ্লবী মূল্যায়ন মার্কস উপস্থিত করেন (‘ফ্রান্সে গৃহযুদ্ধ’, ১৮৭১), তার পতন (১৮৭১) এবং বাকুনিনপন্থীগণ কর্তৃক আন্তর্জাতিক বিভেদ সৃষ্টির পর ইউরোপে তার অস্তিত্ব অসম্ভব হয়ে পড়ল। আন্তর্জাতিকের হেগ কংগ্রেসের (১৮৭২) পর মার্কস আন্তর্জাতিকের সাধারণ পরিষদকে নিউইয়র্কে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করেন। প্রথম আন্তর্জাতিকের ঐতিহাসিক ভূমিকা শেষ হয়ে গিয়েছিল, পৃথিবীর সমস্ত দেশে শ্রমিক আন্দোলনের অপরিমেয় বেশি বৃদ্ধির একটা যুগের জন্য তার প্রসারবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন জাতীয় রাষ্ট্রের ভিত্তিতে ব্যাপক সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক পার্টি সৃষ্টির একটা যুগের জন্যই তা পথ ছেড়ে দেয়।
আন্তর্জাতিকে প্রচুর কার্যকলাপ এবং তত্ত্ব নিয়ে কাজের জন্য কঠিনতর পরিশ্রমের ফলে মার্কসের স্বাস্থ্য চূড়ান্তরূপে ভেঙ্গে দিয়েছিল। অর্থশাস্ত্রকে ঢেলে সাজা এবং ‘পুঁজি’কে সম্পূর্ণ করার কাজ তিনি চালিয়ে যান, রাশি রাশি নতুন তথ্য সংগ্রহ করেন ও একাধিক ভাষা (যথা রুশ) আয়ত্ত করেন, কিন্তু ভগ্নস্বাস্থ্যে ‘পুঁজি’ সম্পূর্ণ করা তাঁর হয়ে উঠল না।
১৮৮১ সালের ২ ডিসেম্বর তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ১৮৮৩ সালের ১৪ মার্চ আরাম-কেদারায় বসে শান্তভাবে মার্কস তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। লন্ডনের হাই গেট সমাধিক্ষেত্রে মার্কসকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একত্রে সমাধিস্থ করা হয়। মার্কসের সন্তানদের মধ্যে কিছু বাল্যবস্থাতেই মারা যায় লন্ডনে। যখন চরম অভাবের মধ্যে পরিবারটি বাস করছিল। ‘এলেওনোরা এভেলিং, লাউরা লাফার্গ ও জেনি লঁগে- এই তিন মেয়ের বিয়ে হয় ইংরেজ ও ফরাসী সমাজতন্ত্রীদের সঙ্গে। শেষোক্ত জনের পুত্র ফরাসী সোশ্যাালিস্ট পার্টির একজন সদস্য।
কার্ল মার্ক্সের সেরা উদ্ধৃতিগুলো হলো :
** “একটি জাতি স্বাধীন হতে পারে না এবং একই সাথে অন্য জাতির উপর অত্যাচার চালিয়ে যেতে পারে। জার্মানির নিপীড়ন থেকে পোল্যান্ডকে মুক্তি না দিয়ে জার্মানির মুক্তি ঘটতে পারে না। ”
** "মূলধন হ'ল মৃত শ্রম, যা ভ্যাম্পায়ারের মতো কেবল জীবন্ত শ্রম চুষে বেঁচে থাকে এবং যত বেশি শ্রম চুষে বেঁচে থাকে lives"
** “পুঁজিবাদ: একজনকে মাছ ধরতে শেখান, তবে তিনি যে মাছ ধরেন তা তার নয়। তারা তাকে মাছের জন্য অর্থদানকারী ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত এবং যদি সে ভাগ্যবান হয় তবে তার নিজের জন্য কয়েকটি মাছ কেনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বেতন দেওয়া যেতে পারে। ** "কমিউনিজম হ'ল ইতিহাসের ধাঁধা এবং এটি নিজেই এই সমাধান হতে জানে।"
** "গণতন্ত্রই সমাজতন্ত্রের রাস্তা।"
** "প্রিয় বক্তৃতা… সর্ব্বোচ্চ বিষয় [সমস্ত কিছুতেই সন্দেহ করা উচিত]"।
** “ইতিহাস সেই পুরুষদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে আখ্যায়িত করেছে যারা সাধারণ ভালোর জন্য কাজ করে নিজেকে নাম লেখিয়েছেন; অভিজ্ঞতা যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে খুশি করেছে সে হিসাবে সবচেয়ে সুখী হিসাবে প্রশংসিত হয় ”"
** “ইতিহাস কিছুই করে না, এতে 'প্রচুর ধন-সম্পদ নেই', এটি 'লড়াইয়ের লড়াই করে না'। তিনি মানুষ, বাস্তব, জীবিত মানুষ যিনি সমস্ত কিছু করেন, যিনি ধারণ করেন এবং লড়াই করেন; 'ইতিহাস' যেমনটি ছিল না, তেমনি একজন ব্যক্তি পৃথক হয়ে মানুষকে তার নিজস্ব লক্ষ্য অর্জনের উপায় হিসাবে ব্যবহার করে; ইতিহাস তার লক্ষ্য অনুসরণের ক্রিয়াকলাপ ছাড়া কিছুই নয় nothing ।
** "ইতিহাস বিচারক - এর নির্বাহক, সর্বহারা।"
** "ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করে, প্রথম ট্র্যাজেডি হিসাবে, দ্বিতীয় প্রহসন হিসাবে।"
** "আমি বই খেয়ে নিন্দিত একটি যন্ত্র”
** "আমি কিছুই না তবে আমার অবশ্যই সবকিছু হতে হবে।"
** "অন্য সকল পুরুষের মতো বাড়িওয়ালারা যেখানে তারা কখনও বপন করেননি সেখানে ফসল কাটাতে ভালবাসেন।"
** “শাসক শ্রেণীকে সাম্যবাদী বিপ্লবে কাঁপুন। সর্বহারা শ্রেণির কাছে তাদের শৃঙ্খলা ব্যতীত হারাবার কিছুই নেই। তারা জয় করার একটি দুনিয়া আছে। সব দেশের কর্মী iteক্যবদ্ধ! "
** "বলা যেতে পারে যে যন্ত্রগুলি বিশেষায়িত শ্রমের বিদ্রোহ দমন করতে পুঁজিবাদী দ্বারা ব্যবহৃত অস্ত্র ছিল।"
** “মানুষ তার নিজস্ব ইতিহাস তৈরি করে তবে পুরো কাপড় থেকে সে তৈরি করে না; তিনি এটিকে নিজের দ্বারা নির্বাচিত শর্তের বাইরে তৈরি করেন না, তবে তার কাছাকাছি সময়ে খুঁজে পান।
** "মুহুর্তগুলি লাভের উপাদান"।
** “সচেতন না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয়তা অন্ধ। স্বাধীনতা প্রয়োজনের চেতনা ” ।
** "ইউটিলিটির অবজেক্ট না হয়ে কোনও কিছুরও মূল্য হতে পারে না।"
** “কেবলমাত্র আপনার ক্ষুদ্র চিত্তাকর্ষক জার্মান ফিলিস্তিন যারা বিশ্ব ইতিহাসকে মর্যাদার সাথে পরিমাপ করে এবং তিনি কী ভাবেন তার দ্বারা 'আকর্ষণীয় সংবাদ আইটেম' হয়ে থাকে, ২০ বছরের এই দিনটির চেয়ে বড় ঘটনাগুলি উদ্বিগ্ন হওয়ার চেয়ে বেশি বিবেচনা করতে পারে, যদিও এগুলি হতে পারে ২০ দিন সংকুচিত হয় এমন দিনগুলিতে আবার সফল হন। "
** "রাজনৈতিক অর্থনীতি সর্বহারা শ্রদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় ... ঘোড়ার মতো, তাকে কাজ করতে সক্ষম করার জন্য তাকে অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। মানুষ হিসাবে যখন তিনি কাজ করছেন না তখন এটি তাকে বিবেচনা করে না। এটি এটিকে ফৌজদারি আইন, ডাক্তার, ধর্ম, পরিসংখ্যানের সারণী, রাজনীতি এবং মণিকীতে ছেড়ে যায়।
** "রাজনৈতিক শক্তি, যথাযথভাবে তথাকথিত, কেবলমাত্র অন্য শ্রেণীর উপর অত্যাচার করার জন্য এক শ্রেণির সংগঠিত শক্তি।"
** "কারণ সর্বদা বিদ্যমান, তবে সর্বদা যুক্তিযুক্ত আকারে নয়।"
** "বিপ্লব ইতিহাসের ইঞ্জিন।"
** "মহিলা লিঙ্গের সামাজিক অবস্থানের দ্বারা সামাজিক অগ্রগতি পরিমাপ করা যায়।"
** "সমাজ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয় না, তবে আন্তঃসম্পর্কীর যোগফল প্রকাশ করে, যার মধ্যে এই ব্যক্তিরা অবস্থান করেন।"
** “নিজেকে খুশি করে এমন লোকদের সাথে নিজেকে ঘিরে ফেলুন। যে লোকেরা আপনাকে হাসায়, যারা আপনাকে যখন প্রয়োজন হয় তখন আপনাকে সহায়তা করে। সত্যিকারের যত্ন নেওয়া লোকেরা। এগুলি হ'ল আপনার জীবনে মূল্যবান। বাকি সবাই সবেমাত্র পার করছে।
** “আমলাতন্ত্র এমন একটি বৃত্ত যেখানে থেকে কেউ পালাতে পারে না। এর শ্রেণিবিন্যাস জ্ঞানের শ্রেণিবিন্যাস।
** "যে দেশটি আরও শিল্পোন্নতভাবে উন্নত সে কেবল তার নিজস্ব ভবিষ্যতের চিত্রকেই দেখায়, স্বল্পোন্নত।"
** "এটির অবস্থা সম্পর্কে মায়া ছেড়ে দেওয়ার দাবিটি এমন একটি শর্ত ছেড়ে দেওয়ার দাবি যা মায়া দরকার।
** “হ্যান্ড-মিল আপনাকে সামন্তের প্রভুর সাথে সমাজ দেয়; শিল্প পুঁজিবাদীর সাথে স্টিম মিল সমাজ society।
** "পূর্ববর্তী সমস্ত সমাজের ইতিহাস ছিল শ্রেণিবদ্ধের ইতিহাস।"
** "পূর্ববর্তী সমস্ত সমাজের ইতিহাস ছিল শ্রেণিবদ্ধের ইতিহাস।"
** "জিনিসের জগতের মূল্য বৃদ্ধি মানুষের বিশ্বের মূল্য হ্রাসের সাথে সরাসরি সমানুপাতিক।"
** "আমরা যে শেষ পুঁজিবাদীকে ঝুলিয়ে দেব সে হ'ল তিনিই যিনি আমাদের দড়ি বিক্রি করেছিলেন।"
** “আপনি যত কম খাবেন, পান করবেন, বই কিনবেন, প্রেক্ষাগৃহে বা বলগুলিতে বা পাবে যাবেন, এবং আপনি যত কম ভাবেন, ভালোবাসা, তাত্ত্বিকতা, গান, রঙ, বেড়া, ইত্যাদি তত বেশি আপনি সক্ষম হবেন সংরক্ষণ করুন এবং বৃহত্তরগুলি আপনার ধন হয়ে উঠবে যা পতঙ্গ বা মরিচা ক্ষতিগ্রস্থ করবে না - আপনার মূলধন। আপনি যত কম, আপনার জীবন যত কম প্রকাশ করবেন, ততই আপনার অভিজাত জীবন তত বেশি এবং আপনার পরিত্যক্ত ব্যক্তির সঞ্চয় তত বেশি ”।
** "নিপীড়িতদের প্রতি কয়েক বছরে একবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় যে নিপীড়ক শ্রেণীর কোন বিশেষ প্রতিনিধি তাদের প্রতিনিধিত্ব ও দমন করার জন্য।"
** “দার্শনিকরা কেবল বিশ্বের বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন pre বিষয়টি তবে এটি পরিবর্তন করা।
** “দার্শনিকরা কেবল বিশ্বের বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন; বিষয়টি এটি পরিবর্তন করা।
** "অত্যধিক দরকারী জিনিসের উত্পাদনের ফলে অনেকগুলি অকেজো মানুষ পাওয়া যায়।"
** "উদ্দেশ্যবাদী সত্যকে মানুষের চিন্তাভাবনার সাথে দায়ী করা যায় কিনা এই প্রশ্নটি তত্ত্বের প্রশ্ন নয়, তবে এটি বাস্তবিক প্রশ্ন।"
** "ধনী ব্যক্তিরা গরীবদের জন্য কিছু করতে পারে তবে তাদের পিছনে ফিরে যায়।"
** "প্রতিটি বয়সের শাসক ধারণাগুলি তার শাসক শ্রেণীর ধারণা ছিল”
** "কমিউনিস্টদের তত্ত্বটি একক বাক্যে সংক্ষেপিত হতে পারে: ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিলুপ্তকরণ।"
** "সমস্ত মৃত প্রজন্মের traditionতিহ্যটি জীবিতদের মস্তিষ্কে দুঃস্বপ্নের মতো ওজন করে।"
** “উগ্রবাদী হ'ল বিষয়টির মূলে যাওয়া। মানুষের জন্য তবে মূলটি নিজেই মানুষ।
** "কট্টরপন্থী হওয়াই হ'ল জিনিসকে মূল দ্বারা উপলব্ধি করা।"
** "আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে যে শ্রমের পুরষ্কার এবং পরিশ্রমের পরিমাণগুলি বেশ আলাদা আলাদা জিনিস”।
(সূত্রঃ আন্দোলন পত্রিকা, কার্ল মার্কসের জন্মদ্বিশতবর্ষ সংখ্যা, ট্যাগ্স: উদ্ধৃত মূল্যসমূহ)
- এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া
মহাসচিব, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ও আহ্বায়ক, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন