অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

লিভারপুল সমর্থকরা আমাকে কোচ হিসেবে চায় না: জেরার্ড

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:১৯ পিএম, ১০ মার্চ ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৬:১৯ পিএম, ১০ মার্চ ২০২১ বুধবার

লিভারপুলের দুর্দিনেও ক্লাব ছেড়ে যাননি স্টিভেন জেরার্ড। অথচ সুযোগ ছিলো রিয়াল মাদ্রিদের বিখ্যাত গ্যালাক্টিকোসের অংশ হওয়ার। ক্যারিয়ারে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ১৭টি মৌসুমে অ্যানফিল্ডে কাটিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। তারপরও লিভারপুলের সমর্থকরা তাকে কোচ হিসেবে চায় না বলে জানিয়েছেন বর্তমানে স্কটল্যান্ডের ক্লাব রেঞ্জার্সের কোচ জেরার্ড। 

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোতে স্লাভিয়া প্রাগের মুখোমুখি হবে রেঞ্জার্স। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জেরার্ড। সে সাথে লিভারপুলের খারাপ অবস্থা সত্তেও জার্গেন ক্লপের উপর নিজের আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক।   

রেঞ্জার্সের দায়িত্বে নেয়ার পর থেকেই সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছেন জেরার্ড। অস্বাভাবিক কিছু না হলে ১০ বছর পর স্কটিশ প্রিমিয়ার লিগ ঘরে তুলবে দলটি। এমন সময় জেরার্ড সাফল্য পাচ্ছেন যখন লিভারপুলের চরম দুর্দিন যাচ্ছে। জানুয়ারিতে মোট আটটি ম্যাচে হেরে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় আটে নেমে গেছে অল রেডরা। 

এমন সময় ব্রিটিশ গণমাধ্যমে খবর আসা শুরু করে, জার্গেন ক্লপকে সরিয়ে স্টিভেন জেরার্ডকে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে লিভারপুলের। আর জোয়াকিম লো জার্মানি ছাড়তে চলায় তার জায়গা নেবেন ক্লপ। 

তবে সে ভাবনায় দ্বিমত করে আইটিভির কাছে জেরার্ড বলেন, লিভারপুল ভক্তরা আমাকে কোচ হিসেবে চায় না। ক্লপ ৩০ বছর পর ক্লাবকে প্রিমিয়ার লিগ জিতিয়েছে। ঘরে এনেছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপাও। সমর্থকরা চায় ক্লপই তার দায়িত্ব চালিয়ে যাক। 

জেরার্ড আরও বলেন, আমাদের আসলে এ নিয়ে কথা বলাই উচিত না। কারণ বিশ্বের সেরা কোচই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমারও এখন চাকরি আছে। আমি চাই আরও অনেক বছর লিভারপুলের দায়িত্বে থাকুন ক্লপ। 

জেরার্ড বলেন, লিভারপুল আমার ক্লাব। জীবনের অসাধারণ মুহুর্ত এখানে কাটিয়েছি। যদি জানতে চান লিভারপুলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন আছে? তাহলে বলবো অবশ্যই আছে। তবে সেটা এখনই নয়। 

১৯৯৮ সালে লিভারপুলে যোগ দেন জেরার্ড। ২০১৫ সালে লিভারপুল থেকেই নিজের খেলোয়াড় জীবনের ইতি টানেন এই তারকা। এসময় ৭০০ এর বেশি ম্যাচ খেলেন অল রেডদের হয়ে। লিভারপুলের হয়ে ২০০৫ সালে জেতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ। সে মৌসুমে এই প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ও মনোনিত হন। ২০১৮ সালে রেঞ্জার্সের দায়িত্ব নেয়ার আগে কাজ করেছেন লিভারপুলের যুবদলের সাথে।