থাইল্যান্ড ভ্রমণে যে ভুল করলে হতে পারে জেল ভ্রমণও
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের এক রিসোর্ট সম্পর্কে খারাপ রিভিউ দেওয়ায় মামলা হয়েছে আমেরিকান পর্যটকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হতে পারে দুই বছরের জেল। জামিন পাওয়ার আগে জেলে কয়েকদিন কাটাতেও হয়েছে এই পর্যটককে।
থাইল্যান্ডে কর্মরত আমেরকিান নাগরিক ওয়েসলি বার্নেস অবস্থান করছিলেন পাতায়ার সি ভিউ রিসোর্টে। রাতের খাবারের পর নিজের মদের বোতল রুমে নিয়ে আসতে চাইলে তাকে বাধা দেয় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। কেননা রিসোর্টের নিয়ম অনুযায়ী রুমে বাহিরের মদ নেওয়া যাবেনা। রিসোর্টের বার থেকেই তা কিনতে হবে। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি বার্নেস। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডতার ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে বার্নেস রিসোর্টকে ‘আধুনিক দিনের দাসত্ব’ আখ্যায়িত করে ট্রিপএডভাইজার সহ একাধিক অনলাইন প্লাটফর্মে সমালোচনা করেন। যদিও ট্রিপএডভাইজারের পোস্টটি নির্দেশিকা লঙ্গনের অভিযোগে অপসারণ করা হয় ।
এই ঘটনায় অসত্য রিভিউ ও রিসোর্টে হৈ চৈ করার অভিযোগে বার্নেসের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করেছে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি মামলা করার আগে রিভিউ দেওয়া বন্ধ করতে বার্নেসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টাও তারা করেছেন কিন্তু সাড়া না মেলায় এমন পদক্ষেপ নেন।
মামলার পরপরই বার্নেসকে গ্রেফতার করা হয় এবং কয়েকদিন জেলে থাকার পর তার জামিন মঞ্জুর করে আদালত ।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের জিডিপির প্রায় ২০ শতাংশ আসে পর্যটন থেকে। কেবল ২০১৯ সালেই থাইল্যান্ড ভ্রমন করে প্রায় চার কোটি পর্যটক। যে কারণে এই সংক্রান্ত বিষয়কে গুরুত্বের সাথে নেওয়া হয়।
বিবিসির থাইল্যান্ড প্রতিনিধি জোনাথন হেড জানান, থাইল্যান্ডে মানহানি আইনটির অপব্যবহার এতটাই করা সহজ যে, বাদী পুলিশের কাছে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের না করে সরাসরি আদালতে ফাইল করতে পারেন। আদালত খুব কমই এগুলো প্রত্যাখ্যান করে। সুতরাং যে কেউ এই ধরনের অভিযোগের শিকার হয়ে আসামী হয়ে যায়, নিজেকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য আদালতে ডেকে পাঠানো হয়, বা যদি তা না করে তবে গ্রেফতারের শিকার হতে পারে। আর অভিযুক্ত বিদেশী হলে তাদের পাসপোর্ট আদালতের কাছে রাখা হয়।
তাই থাইল্যান্ড ভ্রমণে বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন। না হয় থাইল্যান্ড ভ্রমণের পাশাপাশি তাদের জেলখানাও ভ্রমণ হয়ে যেতে পারে।