সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই লেবুর আচার
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোববার আপডেট: ০৯:২৩ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোববার
সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই লেবুর আচার
আচার নিয়ে আমাদের অনেকের অনেক স্মৃতি আছে। ছোটবেলায় চুরি করে তা খেতাম, আবার ধরাও পড়ে যেতাম। খাবারে যেন একটু আচার না থাকলে ঠিক জমে ওঠে না বাঙালির।
এদেশে নানা ধরনের আচার পাওয়া যায়। কুলের আচার, আমের আচার, লেবুর আচার অন্যতম। তেল ও মশলা দিয়ে এ খাদ্য বানানোর পদ্ধতি শতাব্দী প্রাচীন। এগুলো খুব মশলাদার এবং খাবারের স্বাদ বাড়ায়। এতে নানারকম মশলা ব্যবহৃত হয়, যা স্বাদ বৃদ্ধি করে।
তবে সব ধরনের আচার স্বাস্থ্য উপকারী নয়। কিন্তু ব্যতিক্রম লেবুর আচার। এতে
কম তেল ও মশলা ব্যবহার করা হয়। এর রসও দারুণ উপকারী। এবার চলুন জেনে নিই স্বাস্থ্যে লেবুর আচারের উপকারিতা-
রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ
সুস্থ জীবনের জন্য শরীরে রক্তের সঠিক প্রবাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রক্ত দেহের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এর ওঠানামার ফলে উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি হয়। লেবু আচারে প্রচুর পরিমাণে তামা, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এসব উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত
বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরের হাড় দুর্বল হতে থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি। দেহে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাবে এর সৃষ্টি হয়। সুস্থ থাকতে ভিটামিন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য প্রয়োজন। লেবুর আচারে ব্যাপক ভিটামিন সি, এ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে; যা হাড় মজবুত রাখে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি
করোনাভাইরাস এবং অন্যান্য রোগ এড়াতে শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হওয়া দরকার। অনেক ডায়েট রয়েছে যা এ ব্যবস্থাকে শক্তপোক্ত করতে পারে। অন্যতম হলো লেবুর আচার। এতে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে, যা ইমিউন সিস্টেমকে দৃঢ় করে।
হজমজনিত সমস্যা দূর
ডায়েট ও জীবনযাত্রার দুর্বলতার কারণে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এটি এড়াতে লেবুর আচার ভীষণ উপকারী। এতে এনজাইম রয়েছে, যা শরীরের টক্সিন অপসারণ করে। এটি হজম সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখে। ফলে ওজন বাড়ে না, বরং কমে।
হার্ট সুস্থ রাখে
হার্ট শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। লেবুর আচারে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল থাকে না। এটি খেলে হার্ট, ফুসফুস সুস্থ থাকে। ফলে হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি কিডনি পরিষ্কার থাকে।