অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ফলের রাণি আঙুর

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার

আঙুরকে বলা হয় ফলের রাণি। লাল, কালো কিংবা সবুজ, যে রঙেরই হোক না কেন, সবটাতেই উপকারিতা সমান। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা আমাদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

পুষ্টির স্টোরহাউস আঙুর। এটি খেলে অনেক রোগ এড়ানো যায়। এ ফল ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। আঙুর খেতে যেমন সুস্বাদু, এর উপকারগুলোও আশ্চর্যজনক।

স্বাস্থ্য উপাদানে ভরপুর আঙুর
এতে ব্যাপক পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও বি বিদ্যমান। পাশাপাশি এ ফলে অধিক পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। আঙুরে প্রাপ্ত ফ্লেভোনয়েডস শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শুধু তাই নয়, তাতে থাকে প্রচুর পুষ্টি যেমন-ক্যালরি, ফাইবার, গ্লুকোজ, ম্যাগনেসিয়াম ও সাইট্রিক অ্যাসিড।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
আঙুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এজন্য উচ্চরক্তচাপে ভোগা রোগীদের সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন তা খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

ক্যান্সার থেকে রক্ষা
এ ফল ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। আঙুরে অনেক উপাদান রয়েছে যেমন-গ্লুকোজ, ম্যাগনেসিয়াম ও সাইট্রিক অ্যাসিড। মূলত টিবি, ক্যান্সার এবং রক্ত সংক্রমণের মতো রোগে দারুণ কার্যকরী এটি।

হৃদরোগ প্রতিরোধ
যারা হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য আঙুর খুবই উপকারী। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি খেলে স্তন ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

চোখের উপকারী
এর মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। যা চোখের জন্য ভীষণ দরকারী। যাদের এ সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তারা ডায়েটে আবশ্যকভাবে এ ফল রাখতে পারেন।

ডায়াবেটিসে কার্যকর
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকদের আঙুর খাওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়। এটি দেহে চিনির মাত্রা কমায়। এছাড়া তা দেহে আয়রনের ঘাটতি দূর করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
দ্রুত ওজন কমাতে এ ফল খেতে হবে। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি দেয়।

ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর
যারা কাজের সময় দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাদের এটি খাওয়া উচিত। এ ফল খেলে শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। কোলেস্টেরল কমাতে দারুণ কাজ করে আঙুর। শারীরিক দুর্বলতাও তা দূর করে।

অ্যালার্জি দূরে
অনেকে ত্বকের অ্যালার্জিতে ভোগেন। আঙুরে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এ থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। অ্যান্টিভাইরাল প্রোপার্টি'র পোলিও, ভাইরাস ও হার্পিস জাতীয় ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এটি।