হলে না থেকেও গুণতে হচ্ছে সিট ভাড়া
ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১১:৪০ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোববার
করোনার প্রকোপে দীর্ঘদিন বন্ধ আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সাথে বন্ধ আবাসিক হলগুলোও। তবে এসময়ে হলে অবস্থান না করলেও সিট ভাড়া গুণতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
স্বশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকলেও গত বছরের ২১ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে এখনও বন্ধ আছে আবাসিক হলগুলো। রেজিস্ট্রেশন করার সময় হলের বকেয়া পরিশোধ করতে হয়। ফলে হলে না সিট ভাড়া দেওয়া নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেস বাসার ভাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬০ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের থেকে এ নিয়ম মেনেই বাড়িওয়ালারা ভাড়া নিয়েছেন। কিন্তু হলের সিট ভাড়া মওকুফ বা কমানো নিয়ে প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন মেস মালিকদের ভাড়া কমাতে অনুরোধ করলেও আবাসিক হলের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এ জে রাব্বি বলেন, 'করোনার সময় ব্যক্তিমালিকানাধীন মেস ভাড়া নিয়ে যারা সবাইকে পথ দেখাল, তারা নিজেদের বেলায় কিভাবে এত উদাসীন, তা বোধগম্য নয়।'
আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বাসিন্দা ইমন হাসান বলেন, 'করোনায় মধ্যবিত্ত সব পরিবারই আর্থিক টানাপোড়েনে পড়েছেন। ফলে হলে অবস্থান না করেও সিটভাড়া পরিশোধ বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ প্রশাসন চাইলেই সিট ভাড়া মওকুফ করতে পারে।
এ বিষয়ে শ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, 'সিট ভাড়া মওকুফ করা তেমন কঠিন বিষয় নয়। শিক্ষার্থীরা লিখিত আবেদন জানালে আমরা মওকুফের ব্যবস্থা করে দেব।'