কীভাবে, কী দিয়ে, কেন খাবেন কচুশাক?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৭ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার আপডেট: ০৪:১০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার
সুস্বাস্থ্যে দারুণ উপকারী সবুজ শাকসবজি। এর মধ্যে অন্যতম কচুশাক। প্রায় সব ভোজনরসিকের কাছেই এটি পরিচিত খাবার। সর্বজন সমাদৃত এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ক্যালসিয়াম, আয়রনসহ অন্যান্য খাদ্য উপাদান। দরকারি পুষ্টিগুণের যোগান ছাড়া কচুশাক বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবেও কাজ করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ থাকায় পরিপাকতন্ত্রের প্রক্রিয়া সচল রাখে এটি। শাক ছাড়া এর মাটির নিচের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপাদান। এটি অনেকভাবে রান্না করা যায়। তবে বিশেষ করে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে তা বেশ সুস্বাদু। চিংড়ি দিয়েও বেশ জমে যায়।
নিরামিষ পদের ক্ষেত্রে বাঙালি রসনায় পিছিয়ে নেই কচুশাক। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধে এর জুড়ি নেই। অনন্য স্বাদের কারণে পাকোড়া তৈরিতেও এটি ব্যবহৃত হয়। চলুন জেনে নিই স্বাস্থ্যের পক্ষে এ শাকের উপকারিতা কত...
হার্ট সুস্থ রাখে
শরীরের অন্যান্য অঙ্গে রক্ত পাম্প করে হার্ট। কিন্তু এতে চর্বি জমলে ধমনী ব্লক হয়ে যায়। ফলে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়। এসব এড়াতে কচুশাক খাওয়া অপরিহার্য। এতে আছে নাইট্রেট, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ
যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাদের ডায়েটে কচুশাক রাখা আবশ্যক। এতে ফ্যাট থাকে না। উপরন্তু সোডিয়ামের পরিমাণও কম থাকে। এটি নিয়মিত খেলে হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ে
কচুশাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়। এতে বিদ্যমান বিটা ক্যারোটিন চোখের জন্য অসাধারণ উপকারী। এটি খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। এ শাকে আছে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য ভীষণ কার্যকরী।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য কচুশাক অপরিহার্য। লাইফস্টাইলে উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন এটি খাওয়া দরকার। এতে প্রতিরোধী স্টার্চ রয়েছে, যা সহজে দেহে শোষিত হয় না।
ওজন কমায়
স্থূলত্ব একটি সাধারণ সমস্যা। বেশি তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে ফ্যাট জমে। কচুশাকে খুব কম ক্যালোরি থাকে। এতে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
বিভিন্ন গুণাবলী সমৃদ্ধ হওয়ার কারণেে এটি শরীরের অনেক ব্যধি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এ শাক কেবল রক্তে শর্করাই নিয়ন্ত্রণ করে না, দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়। কিডনি, লিভার, ফুসফুস সুস্থ থাকে।