অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

তদন্ত ডুবেছে মাদকে!

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৭ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার   আপডেট: ১২:০৮ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত চলছে। কিন্তু ভারতের সিবিআই এবং মাদক নিয়ন্ত্রন ব্যুরোর তদন্ত দিন দিন সুশান্ত সিং থেকে মাদকের দিকে সরে যাচ্ছে। এবং প্রতিনিয়ত তাতে যুক্ত হচ্ছে বলিউডের বড় বড় নাম।

তদন্তের এক পর্যায়ে জানা গেলো সুশান্ত সিংহ মাদক নিতেন এবং তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী আর ভাই সৌভিক সুশান্তকে মাদকের জোগান দিতেন। মাদক যোগের সেই অভিযোগে প্রথমে রিয়ার ভাইকে আটক করে মাদক নিয়ন্ত্রন ব্যুরো। তার পরের দিনই আটক করা হয় রিয়াকে।

এরপর রিয়ার দেওয়া তথ্য মতে একে একে অনেককেই ডাকা হয় জিজ্ঞাসাবাদের টেবিলে। আর এসব জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে জল ঘোলা হতে শুরু করে। একে একে জড়িয়ে পরে বহু নাম।

প্রথমে খবর বেরুলো, মাদককাণ্ডের সাথে জড়িত আছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারা আলী খান, শ্রদ্ধা কাপুর এবং দক্ষিনী স্টার রাকুল প্রীত সিংহ। যদিও এদের কাউকেই এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে অচিরেই ডক পরবে তাদের।

কিন্তু তালিকা এখানেই শেষ হয়নি। এখন শোনা যাচ্ছে মাদককাণ্ডে নাকি আছে আরও অনেক বড় নাম। তাদের মধ্যে একজনের নামতো প্রকাশ্যেই চলে এসেছে। তিনি বলিউডের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা দীপিকা পাডুকোন। বলা হচ্ছে ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহার দেওয়া তথ্য এবং হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে দীপিকার বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। চ্যাটের সাইন কোডের একটি শব্দ ‘ডি’ দীপিকাকে টেনে আনতে সাহায্য করেছে।

যদিও এসবের মধ্যে দীপিকা আর শ্রদ্ধা কাপুরকে জড়ানোর পেছনে রাজনীতি দেখছেন অনেকে। কারণ কিছুদিন আগে জহওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে যাওয়া সরকার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের সমর্থন জানাতে সেখানে গেছেন শ্রদ্ধা আর দীপিকা।

অবশ্য শুধু দীপিকা বা শ্রদ্ধার প্রসঙ্গই নয়, পুরো সুশান্ত সিং কাণ্ডেই কেন্দ্রের শাসক বিজেপির পক্ষ থেকে রাজনীতির চেষ্টা চলছে বলে অনেকের মত। কারণ সামনে বিহারের নির্বাচন। আর বিহারের গর্ব সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে জল ঘোলা করতে পারলে আখেড়ে ফায়দা তাদের। 
কারণ মুম্বাই যে রাজ্যের শহর সেই মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার শরিক দল কংগ্রেস। সুশান্তের রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই মুম্বাই পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদের হাত থেকে তদন্তের ভার নিয়ে নিয়েছে সিবিআই, যার নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রের হাতে। আর এই মামলায় মহারাষ্ট্র সরকারের দুর্বলতা কিংবা অনিহাকে যতটা বড় করে দেখানো যাবে আসন্ন বিহার নির্বাচনে বিজেপির ফায়দাও ততোটা বড় হবে।