স্বাস্থ্যের ৪২ জনের সম্পদের খোঁজে দুদক
প্রকাশিত: ০৭:০৯ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার আপডেট: ০৭:২১ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
দুদকের একটি অনুসন্ধানী টিমের হাতে এখন ৪২ জনের তালিকা। এরা সকলেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরাসরি কিংবা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের কার নামে কত সম্পদ, তা দেখবে দুর্নীতি দমন কমিশন।
প্রাথমিক অভিযোগ দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, বদলিবাণিজ্য এবং আরও বিভিন্ন উপায়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এরা। অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে দুদক।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানালেন, ২০১৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। তারিই ভিত্তিতে অভিযুক্তদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত হয়।
যাদের মধ্যে ২১জনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল করার জন্য দুদকের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪৩জনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেওয়া হবে।
এদের মধ্যে কার কতটা সম্পদ তা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে। অনুসন্ধানের আগে কিছুই বলা যাবে না, বলেন, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।
তবে এই পরিচালক মনে করেন, দুর্নীতি করার পরে ধরার চেয়ে আগে ধরা বা প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সেজন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এতে দুর্নীতি কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুসন্ধানে যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তার বিরুদ্ধেই দুদক মামলা করছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে, বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদের খোঁজ করছে দুদক তারা হলেন:
- জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (প্রশাসন-২) কবির আহমেদ চৌধুরী
- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষক মো. মজিবুর রহমান,
- ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর,
- কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান,
- মহাপরিচালক দপ্তরের সহকারী প্রধান মো. জোবায়ের হোসেন,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিক্যাল এডুকেশন শাখার অফিস সহকারী খাইরুল আলম,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার উচ্চমান সহকারী রেজাউল ইসলাম,
- সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী এম কে আশেক নওয়াজ,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই ভবন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া,
- অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (ইপিআই) মো. মজিবুল হক মুন্সি,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার অফিস সহকারী কামরুল হাসান,
- ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান,
- রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. ইমদাদুল হক,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত গাড়িচালক আব্দুল মালেক,
- জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুজ্জামান,
- রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন,
- শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন,
- বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর রায়হান আলী,
- বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষক এটিএম দুলাল,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হাসান,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী মো. আশরাফুল ইসলাম,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মো. সাজেদুল করিম,
- গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের স্টেনোগ্রাফার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলাম,
- কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান,
- মুগদা মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষক আবদুল্লাহ হেল কাফি,
- সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাব সহকারী আব্দুল হালিম
- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের স্টোর কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন,
- কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাব রক্ষক আব্দুল মজিদ,
- রংপুর মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আলিমুল ইসলাম,
- ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ,
- ফরিদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতারের স্টোর কিপার সাফায়েত হোসেন,
- সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাব সহকারী সুব্রত কুমার দাস,
- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সচিব মো. আনায়ার হোসেন,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালক মো. শাহজাহান,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. তৈয়বুর রহমান,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম,
- চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. ফয়জুর রহমান,
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টোর ম্যানেজার ইপিআই হেলাল তরফদার,
- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র স্টোর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এবং
- কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাব রক্ষক আব্দুল মজিদ।