অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:৪২ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৪:৪৭ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২১ বুধবার

ভ্যাকসিন চুক্তির পর থেকে আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। ভ্যাকসিন আসার পর সেগুলো বুঝে নেয়া, ফ্রিজার ভ্যানে করে ওয়্যারহাউজ নেয়া, সেখান থেকে টিকাদান কেন্দ্রে নেয়া, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও আজকের ভ্যাকসিন দেয়া পর্যন্ত সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে। আগামী দিনে কীভাবে টিকাদান কর্মসূচির বর্জ ব্যবস্থাপনা হবে সে পরিকল্পনাও করা হয়েছে। 

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দেশে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্ভোধন করার সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। 

**টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন আসার পর দেশের ওষুধ প্রশাসন সেগুলো পরীক্ষা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনা মেনেই এই টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, করোনার শুরু থেকেই আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে এমন সব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করি। শেষ পর্যন্ত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন নেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। ভ্যাকসিন আসার আগেই আমরা এক হাজার কোটি টাকার ফান্ড রেখেছিলাম। তাই সময় মতো অর্থ পরিশোধ করতে পেরেছি। 

এসময় টিকাদান কার্যক্রমে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইচ্ছা ছিল সামনে থেকে সব কিছু দেখব। কিন্তু করোনার কারণে সেটাও সম্ভব হলো না।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে মোট তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। এর বাইরে প্রয়োজন অনুযায়ী আরো টিকা কেনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িতদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। 

সেরামের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় বিশ্বের ৯২টি দেশের মত বাংলাদেশও মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য টিকা পাবে। তাতে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসতে পারে।