দেউলিয়া না হতে মেসিকে বিক্রির বিকল্প নেই বার্সার!
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার আপডেট: ০২:৫১ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত দলগুলোর একটি বার্সেলোনা। স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কার বার্ষিক অর্থনৈতিক হিসাব বলছে, ক্লাবটির ঘাড়ে প্রায় ১১৭৩ মিলিয়ন ইউরো ঋণের বোঝা জমা হয়েছে। বার্সেলোনার দৈনিক পত্রিকা এল মুন্ডোর রিপোর্ট, দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে কাতালান শিবির। এ অবস্থায় প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে বিক্রি যেন অপরিহার্য!
গুঞ্জনকে গত মৌসুমে বাস্তবে রুপ দিয়েছিলেন মেসি নিজেই। শৈশব থেকে যে ক্লাব ঘিরে তার এতো সাফল্য, যে দলকে ঘিরে তার এতো আবেগ-অনুভুতি জমা হয়েছে, সে বার্সেলোনায় আর মন টিকছে না এ আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। চলে যেতে মরীয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্ত ক্লাবের সাথে বনিবনা না হওয়ায় এ মৌসুমটা থেকে যেতে রাজী হন। চলতি মৌসুম শেষে তাকে দলে ভেড়াতে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে প্রস্তত রয়েছে ম্যানসিটি-পিএসজির মতো দলগুলো।
সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি সব ট্রান্সফার রেকর্ড ভেঙে নতুন ক্লাবে যোগ দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বর্তমানে পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের দখলে রয়েছে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর এ রেকর্ড।
ইতিমধ্যে দল ছেড়েছেন লুইস সুয়ারেজ। মৌসুম শেষে মেসিকে বিদায় দিলে বার্সার রঙ যে অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে সে কথা বলাই বাহুল্য। কিন্ত বিরাট অঙ্কের ঋণের বোঝা নামাতে বুকে পাথর বেঁধে বড় অংকের বিনিময়ে তাকে বিক্রি করে দেয়ার বিকল্প পাচ্ছে না কাতালানরা।
স্প্যানিশ জায়ান্টদের বার্ষিক আয়ের ৭৪ শতাংশ চলে যায় খেলোয়াড়দের বেতন যোগাতে। মেসি একাই বেতনের সিংহভাগ দখল করে থাকেন। বাকি অর্থ দিয়ে দল ব্যবস্থাপনা, স্টাফ-কোচদের বেতন পোষাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। তাই ঋণ কমানো তো দূরের কথা, উল্টো বেড়েই চলছে এ অঙ্ক। এলএমটেনকে বিক্রির মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
বার্সেলোনার অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি কার্লোস টুসকেটস কাতালান রেডিও স্টেশন র্যাক-১ কে জানান, ক্লাবের অবস্থা এতোই নাজেহাল যে খেলোয়াড়দের পূর্বনির্ধারিত জানুয়ারি মাসের বেতন এখনও দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।