অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বিভাগ একীভূতকরণে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক বছর পার, আসেনি সমাধান

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৫ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ১০:৫৬ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সঙ্গে একীভূতকরণের দাবি করে শিক্ষার্থীরা।

সে প্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কর্তৃক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের ১ বছর পার হলেও এ সমস্যা নিরসনে আসেনি কোন সমাধান। 

গত বছরের ২০ জানুয়ারি, বশেমুরবিপ্রবি ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই, ইইই, ইসিই শিক্ষকদের সমন্বয়ে ১৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ২৫ জানুয়ারি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক বলে এর পক্ষে মতামত দেন।  

পরবর্তীতে, গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যা সমাধানে ইউজিসি কর্তৃক সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগমকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আছেন প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর ড. কামাল হোসেন (সদস্য সচিব), বশেমুরবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, বশেমুরবিপ্রবির সাবেক রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ এবং বশেমুরবিপ্রবির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইটিই বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, মূল্যায়ন প্রতিবেদন কমিটির অন্যতম ট্রামস অ্যান্ড রেফারেন্স এর মধ্যে ইইই বিভাগের সাথে ইটিই বিভাগের সাথে একীভূতকরণের দাবির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করবার কথা থাকলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনরূপ ফলাফল পাইনি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহমুদ জানান, ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন এবং ইটিই বিভাগকে ইইই বিভাগের সাথে একীভূতকরণের শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানতে পেরেছি। আগের কোন কিছুর দায় আমার উপর বর্তায় না।"

তিনি আরও বলেন, এটি সহজ প্রক্রিয়া নয়, আমার একক সিদ্ধান্তের উপরও নির্ভর করে না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে একাডেমিক কাউন্সিলে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করব। এরপর রিজেন্ট বোর্ডে আলোচনা করে ইউজিসির কাছে শিক্ষার্থীদের সমস্যা তুলে ধরব।