মি. বিনের হাস্যকর মুখাবয়বের নেপথ্যে
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার
রোয়ান অ্যাটকিনসন, আগেই একজন চলচ্চিত্র তারকা ছিলেন। তবে মূলত কমেডি সিরিজ মি. বিনের চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেন তিনি। এর মাধ্যমেই বিশ্বের অসংখ্য মানুষকে হাসিয়ে সবার মন জয় করেন এই তারকা। পেয়ে যান মি. বিনের তকমা। রাগ বা দুঃখ, মনমরা বা ক্লান্ত – আপনি যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন তিনি আপনাকে হাসিয়েই ছাড়বেন।
স্ক্রিনে মি. বিনের অদ্ভুত উপস্থিতি সবাইকে মুগ্ধ করে। কিন্তু এই তারকার বাস্তব জীবন নিয়ে অনেকে জানেন না। দর্শকদের কাছে রোয়ানের জীবন ছিল ধাঁধায় মোড়ানো। কি তাকে অনুপ্রাণিত করেছে, কোথায় তার বাড়ি, এসব বিষয় নিয়ে অনেকে কৌতুহলী। অপরাজেয় বাংলার এবারের আয়োজনে মি. বিন নিয়ে কয়েকটি অজানা তথ্য রয়েছে-
অভিনয়ে হাতেখড়ি
বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছিলেন রোয়ান। তিনি একজন যন্ত্র প্রকৌশলী হতে চেয়েছিলেন। একটি স্থানীয় থিয়েটারে স্কেচ করতে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম মুখভঙ্গি পরিবর্তন করে দেখেন। পরে তাকে একটি নাটকের পার্শ্বচরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায়। সেখানেই তার অভিনয়ের হাতেখড়ি।
কার্টিসের আবিষ্কার
বিখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রিচার্ড কার্টিস রোয়ানের সঙ্গে অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করতেন। সিটকম থিয়েটারে নাট্যকর্মী থাকাকালীন রোয়ানের কয়েকটি নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখা এবং প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন কার্টিস। সেখানেই তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে এবং পরবর্তীতে হলিউডে কাজ করেন মি. বিন।
অনুপ্রেরণা ফরাসি অভিনেতা
ফ্রান্সের গুণী অভিনেতা জ্যাকস তাদি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন রোয়ানকে। শব্দ ব্যবহার না করেও বিভিন্ন ভঙ্গিমায় কিভাবে অভিনয় করে মানুষকে মুগ্ধ করার বিষয়টি দারুণভাবে আলোড়িত করে তাকে।
কাজের ধরণ অনানুষ্ঠানিক
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় শুরু করলেও মি. বিন আশা করেন, তার ভাবনার সঙ্গে মুখাবয়ব যেন মিলে যায়। নিজের করা স্কেচগুলো দেখতে একেবারে সহজ মনে হলেও এগুলোর পেছনে অনেক শ্রম ব্যয় করেন তিনি। যদিও দর্শক শুধু হাস্যকর অভিনয় দেখতে চায়, রোয়ান তার কাজগুলো খুব গুরুত্বের সঙ্গে করেন।
মাত্র ১৪ পর্ব
রোয়ান অ্যাটকিনসনের করা মি. বিন সিরিজের মাত্র ১৪টি পর্ব রয়েছে। এ স্বল্প সংখ্যক পর্ব দিয়ে তিনি শক্তিশালী একটি চরিত্র গড়ে তুলেছেন। এ ব্যাপারে বলেন, এ সংখ্যাই যথেষ্ট!