অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রতিদিনের সংবাদ-এর আয়োজনে রাহাত খান স্মরন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:২৯ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৯:৪৩ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

"আমি ছোটবেলা থেকে রাহাত খান নামটি শুনে এসেছি। তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় প্রতিদিনের সংবাদ’এর সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার সময়। তিনি অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।"

- মোঃ তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী

তিনি বলেন, একুশে প্রদকপ্রাপ্ত রাহাত খান ছিলেন একাধারে কথা সাহিত্যিক, লেখক ও সাংবাদিক। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রতিদিনের সংবাদ কার্যালয়ে পত্রিকাটির প্রয়াত সম্পাদক কথাসাহিত্যিক রাহাত খানের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন এলজিআরডিমন্ত্রী।

প্রতিদিনের সংবাদ’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এস এম মাহ্বুবুর রহমানের সভাপতিত্ব কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়েনর সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ও রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান।

প্রতিদিনের সংবাদ’ পত্রিকার সাথে জড়িত সকলের উদ্দেশ্যে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে এই পত্রিকাটিকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকাটির কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাহাত খান সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন, বলেন তিনি।

রাহাত খানের স্ত্রী অপর্না খানকে আশ্বস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাহাত খানের পরিবারের সঙ্গে প্রতিদিনের সংবাদ পরিবার এবং কর্তৃপক্ষ সবসময়ই যোগাযোগ রাখবে এবং তাদের পাশে থাকবে।

প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে সম্পাদক রাহাত খান একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি যেখানে ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইত্তেফাক ও প্রতিদিনের সংবাদসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি।

বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিকতার জন্য যে সকল গুণ থাকা দরকার, তার মধ্যে সবই ছিল রাহাত খানের মধ্যে। এই জন্য তিনি প্রসিদ্ধ হয়েছেন।

ডিইউজে’র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, রাহাত খান সংবাদ ও রাজনীতি যেভাবে বিশ্লেষণ করতেন, তার মতো এখন আর কেউ করেন না। তার মতো মানুষ পাওয়া বর্তমানে খুব কঠিন। তিনি একজনই।

সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, রাহাত খান আমাদের গর্ব। তিনি আমাদের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন তাঁর সৃষ্টি ও কর্মের মধ্যে।

রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার কার্যালয়ে আসার স্মৃতিচারণ করে বলেন, কিছুদিন আগেও যে চেয়ারে বসেছিলেন রাহাত খান, সেই আসনটি এখন খালি।

সভাপতির বক্তব্যে প্রতিদিনের সংবাদ’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এস এম মাহ্বুবুর রহমান বলেন, ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের মধ্যে সংবাদপত্র জগতে কাজ শুরু করেন রাহাত খান। সর্বশেষ প্রতিদিনের সংবাদের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মত মানুষকে সম্পাদক হিসেবে পেয়ে আমরা আনান্দিত ও গর্বিত ছিলাম।

জাতীয় পুরস্কারজয়ী রাহাত খান গত ২৮ শে আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৬ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।