রপ্তানিতে বেপজার অবদান বাড়ছে, কোভিডে কার্যকর পদক্ষেপ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৪ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
জাতীয় রপ্তানিতে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ-বেপজার অবদান ২০১৯ -২০ অর্থবছরে আরো বেড়েছে। বেপজার অধীনে থাকা দেশের আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল-ইপিজেডের চালু শিল্পসমূহ গত অর্থবছরে ৬.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করে, যা দেশের মোট রপ্তানির ১৯.২৭ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জাতীয় রপ্তানিতে বেপজার অবদান ছিল ১৮.৫৬ শতাংশ। বেপজার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশও একইভাবে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে দেশের রপ্তানি খাতের অনেক কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লকডাউনে অর্থনেতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে দেশের জাতীয় রপ্তানি ৪০.৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৩৩.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়।
তবে কিছু সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপের কারণে জাতীয় রপ্তানিতে বেপজার অবদান গত বছরের তুলনায় বেড়েছে, দাবি এই কর্তৃপক্ষের।
বেপজা জানাচ্ছে,
- সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন চলমান রাখতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।
- সময়ের প্রয়োজনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন করতে আগ্রহী এমন কারখানাগুলোকে উৎসাহ ও সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।
- ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত দেশের ৮টি ইপিজেডে ৪৭৫টি চালু ছিল
- ৭৪টি বাস্তবায়নাধীন শিল্পে ৫.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এসেছে।
- ইপিজেডসমূহ থেকে রপ্তানির পরিমান দাড়িয়েছে ৮০.৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
- ৪,৬৬,৩০৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করছে।