লটারি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী
মাধ্যমিকে স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ শুরু
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার আপডেট: ০৬:১১ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার
সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ শুরু হয়েছে। সোমবার ( ১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভর্তির ডিজিটাল লটারি উদ্বোধন ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরে, আজিমপুর গার্লস স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী লটারি কার্যক্রমের সূচনা করে।
**মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তিতে লটারি যেভাবে হবে
সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি সোমবার
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, মহামারি করোনার কারণে সারা বিশ্ব কঠিন পরিস্থিতি পার করছে। এই পরিস্থিতির কারণে লটারির মাধ্যমে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওযার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার একটি ভাল দিক হলো, নানা ধরণের মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা সব স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবে। শিক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, পুরো প্রক্রিয়া হবে স্বচ্ছতার সাথে।
লটারি প্রক্রিয়া:
দেশজুড়ে লটারি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে রাজধানীর স্কুলগুলো, এরপর পর্যায়ক্রমে মহানগরী, জেলা ও উপজেলা শহরের সব মিলিয়ে ৩৯০টি স্কুলে লটারি হয়।
লটারির কার্যক্রম অনলাইনে প্রচার করা হয়। ঠিকানা: http://www.facebook.com/dshe.moebd্
স্কুল কর্তৃপক্ষকে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে এ লটারি দেখার সুযোগ দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্কুলে গিয়ে তা দেখার সুযোগ দেওয়া হয়।
লটারি পরবর্তী কাজ:
লটারির ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে টেলিটক ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিজ নিজ স্কুলের মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিকেল ৫টা থেকে নির্ধারিত লিংকে (http://gsa.teletalk.com.bd) ফলাফল প্রচার শুরু করা হয়।
লটারির ফল আজই সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে টেলিটকের এসএসএমের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধান, অভিভাবকরা টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ফল ডাউনলোড করে জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতিকে ইমেইল করবেন।
একইসাথে ফল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা ডাকতে হবে।
স্কুলগুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সারাদেশে সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির জন্য ৮০ হাজার সিটের বিপরীতে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩১১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। সে হিসেবে প্রতি সিটের জন্য সাতটির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের নির্দেশে আবেদনের সময় ৭দিন বাড়ানো হয়েছিল। সোমবার বিকেলে লটারির ফল প্রকাশ করা হয়।