ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সাতদিন পর প্রয়োগ শুরু
৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসছে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার আপডেট: ০৭:১৬ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার
আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে ৫০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন আসছে। ভ্যাকসিন পাওয়ার সাতদিন পর প্রয়োগ শুরু হবে। এ সাতদিন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন এ কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। ভ্যাকসিন কারা পাচ্ছেন, এর সংরক্ষণ ও বিরতরণ সংক্রান্ত প্রথম কয়েক ধাপের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয় সম্মেলনে।
**দেশে করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন কারা কখন
সোমবার বিকেলে (১১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক জানান, ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসছে। টিকার ৫০ লাখ ডোজই প্রথম ধাপে দেয়া হবে। দুই মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
মহাপরিচালক জানান,
'এর আগে আমাদের জানানো হয়েছিল, প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। সে হিসেবে প্রথমে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু গতকাল নতুন নিয়ম জানার পর আমরা পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছি। প্রথম যে ৫০ লাখ টিকা আসবে তা দিয়ে দেওয়া হবে। দুই মাসের মধ্যে আরও টিকা চলে আসবে। সেজন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হবে।
ভ্যাকসিন আসার পর দুই দিন বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে রাখা হবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ভ্যাকসিন আনা, সংরক্ষণ ও রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলেও জানান মহাপরিচালক। বলেন, পুলিশ, র্যাব, এনএসআইসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে যেন অতিরিক্ত জনসমাগম না হয়, সে বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার দায়িত্ব তিনি দেন গণমাধ্যমকে।
গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে সরকার। চুক্তিতে বলা হয়, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার এক মাসের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট ৫০ লাখ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বেক্সিমকোর মাধ্যমে। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেবে। এভাবে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনা হবে সেরাম থেকে।