অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার   আপডেট: ০৩:৪০ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। শনিবার (৯ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে না। তবে, ছুটি বাড়ানো নিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ১৫ দিন থেকে এক মাস বাড়তে পারে। দু একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে  জানিয়েছেন, মহামারি পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাবে।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ সেটি ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। বাতিল হয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষাও। তবে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায় অনলাইন, টিভি ও বেতারে ক্লাস চালিয়ে আসছে সরকার।

বাতিল হয়েছে যেসব পরীক্ষা
পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা।
অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।  
মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা।

করোনাকালে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে প্রথাগতভাবে বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। এক্ষেত্রে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প পদ্ধতিতে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল মূল্যায়ন কাজ নেওয়ার মাধ্যমে সব শিক্ষার্থীকেই পরের ক্লাসে ওঠানো হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে সরকার বিনামূল্যে পাঠ্যবইও বিতরণ করেছে। 

ইতোমধ্যে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

তবে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী জুনে এসএসসি এবং জুলাই-আগস্টে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এছাড়া করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে পাঠদান দেয়ার পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান তিনি।