ছোট আপা`র জন্মদিনে...
একজন সহানুভূতিশীল, সমানুভূতিশীল শেখ রেহানাকে দেখি বারংবার
মাহমুদ মেনন
প্রকাশিত: ০১:৪৮ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রোববার আপডেট: ১২:০৭ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রোববার
বাংলাদেশে তিনি জাতির জনকের কন্যা, প্রধানমন্ত্রীর অতি প্রিয় ও আদরের ছোটবোন, যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন এমপি তথা ছায়ামন্ত্রীর মা, তাও তিনি একজন কর্মজীবী, অতি সাধারণ। সম্মানের এক জীবন তার, সুদূর লন্ডনে।
সেদেশে তিনি আছেন আজ সাড়ে চার দশক। সেই যে পঁচাত্তরে গিয়েছিলেন বোনের সঙ্গে ইউরোপে, আনন্দভ্রমণে সেই আনন্দ তাদের চাপা পড়েছিলো চরমতম বেদনার পাহাড়ে।
সে বছরের ১৫ আগস্ট দিনটি তাদের উপর এমন এক নির্মমতার চাবুক কষেছিল যার দগদগে ঘা কখনো শুকোবার নয়। শুকায়নি। সেই চরম বেদনার দুঃসহ ভার কাঁধে করে কচুরিপানার মতো ভাসতে-ভাসতে এক বোন দিল্লিতে অপরজন লন্ডনে ঠাঁই পান। কেতাবি ভাষায় যাকে বলা হয় রাজনৈতিক আশ্রয়।
তারপরের ইতিহাস আরো অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের, যন্ত্রণার, বেদনার এবং উত্তরণের। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে বড় বোন দেশে ফেরেন, ছোট বোন থেকে যান লন্ডনেই সেই রাজনৈতিক আশ্রয়ে।
তবে এসব বেদনার গল্প বলার জন্য নয়, আজ আনন্দের খবর। আজ শেখ রেহানার জন্মদিন।
১৯৫৫ সালের এই দিনে জন্ম নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের মেয়ে এবং এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানা। এক ছেলে ও দুই মেয়ের গর্বিত মা তিনি।
যুক্তরাজ্যে সেই ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ পাওয়ার পর সেখানেই থেকে যান। এখনও সেখানেই থাকেন।
দেশে সক্রিয় রাজনীতির সামনের সারিতে আসেন না কখনো, তবে প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনেও আমরা দেখি বড় বোনের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দৃঢ়চেতা শেখ রেহানার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা দলের মানুষের কাছে তো বটেই দেশের মানুষের কাছেও তাকে 'ছোট আপা' করে তুলেছে।
তার ভেতরের দরদী মানুষটার পরিচয়ও তাই জানা।জনহিতৈষণা আর জনদরদের অনেক প্রমাণ তিনি রেখেছেন, রাখছেন।
আর একজন খাঁটি বাঙালি মা হিসেবে তিন সন্তানকে বিদেশের মাটিতে বড় করে তুলেছেন মানবিক শিক্ষায়।
ছেলে রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি যখন শিশুদের ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠ চান, আর টিউলিপ সিদ্দিকী যখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একজন নবজাতকের মা পার্লামেন্টারিয়ানের জন্য অধিকার নিশ্চিত করার লড়াই করেন তখন সেটাই প্রমাণ করে।
আর জাতির জনকের কন্যা হিসেবে একজন সহানুভূতিশীল, সমানুভূতিশীল শেখ রেহানাকেও আমরা দেখি বারংবার।
একজন অনন্য কন্যা, একজন অনন্য বোন, একজন অনন্য মা শেখ রেহানাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।