অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ভারত থেকে ভ্যাকসিন রপ্তানিতে বাধা নেই: জানালেন সেরামের সিইও

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৫:২৩ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়ালা

সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়ালা

ভারত থেকে সব দেশেই করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমোদন আছে, এ কথা জানিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়ালা। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ভ্যাকসিন নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করে এক টুইটে সেরামের নির্বাহী এ কথা বলেছেন। 

এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে পুনাওয়ালা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছিলেন, 
‘ভারতের ওষুধ প্রশাসন (ডিসিজিআই) ভ্যাকসিনটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু, তারা শর্ত দিয়েছে যে দেশটিতে ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন জনগোষ্ঠীর জন্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সেরাম ইনস্টিটিউট তা রপ্তানি করতে পারবে না, ফলে এই মুহূর্তে আমরা শুধু ভারত সরকারকে ভ্যাকসিন দিব।’

তার এই বক্তব্যের দুদিন পর আজই এক টুইটার বার্তায় এখবর জানালেন তিনি। টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, 
‘মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় আমি দুটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। প্রথমত, অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে ভারতে বায়োটেক নিয়ে যত ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে সবকিছু পরিষ্কার করা হবে।‘

এদিকে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে ১৩৭ পৃষ্ঠার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে সোমবার (৪ জানুয়ারি)‘ সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার দিনই ভ্যাকসিনের আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন। ওষুধ প্রশাসন এ সংক্রান্ত একটি অনাপত্তিপত্র দেয় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডকে। বেক্সিমকোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দিনভর যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি নিয়ে তোলপাড় হয়। দিনের শুরুতেই খবর আসে, ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এতে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের জন্য। শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।

সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বেক্সিমকোর ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড দফায় দফায় সংবাদ সম্মেলন করে। প্রতিটি সম্মেলন থেকেই আশ্বস্ত করা হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে কোথাও বিভ্রান্তির কিছু নেই। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দুই দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে করা চুক্তিটির বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা এখানে কার্যকর হবে না। চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়েই বাংলাদেশ করোনার ভ্যাকসিন আসবে।