চলে গেলেন রাবেয়া খাতুন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৭:৩৫ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২১ রোববার আপডেট: ১১:৪৩ এএম, ৪ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার
কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন (৮৬) মারা গেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত কারণে এই কথাসাহিত্যিকের মৃত্যু হয়েছে।
রাবেয়া খাতুন দেশের একজন স্বনামধন্য কথাসাহিত্যিক। গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, নাটক, স্মৃতিকথাসহ অসংখ্য বিষয়ে লিখেছেন তিনি। লিখেছেন শিশুদের জন্যও। লেখালেখির জন্য দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারসহ পেয়েছেন একুশে এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা একশ’রও বেশি।
রাবেয়া খাতুন উপন্যাস লিখেছেন পঞ্চাশটিরও বেশি। ছোটগল্প সংখ্যায় চারশ’র বেশি। রাবেয়া খাতুন বাংলাদেশের ভ্রমণ সাহিত্যের প্রধানতম লেখক। প্রথম উপন্যাস মধুমতী (১৯৬৩) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শক্তিমান কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পান। ক্ষয়িষ্ণু তাঁতি সম্প্রদায়ের জীবন সংকট ও উঠতি মধ্যবিত্ত জীবনের অস্তিত্ব জিজ্ঞাসার মধ্যে ব্যক্তিকে আবিষ্কার করেছিলেন রাবেয়া খাতুন এই উপন্যাসে।
রাবেয়া খাতুনের জন্ম ১৯৩৫ সালে। তার বাবা মৌলভী মোহাম্মদ মুল্লুক চাঁদ এবং মা হামিদা খাতুন। রাবেয়া খাতুনের বড় ছেলে দেশের সুপরিচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। তার স্বামী দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রথম পত্রিকা সিনেমার সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক প্রয়াত এটিএম ফজলুল হক। বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর পরিচালকও তিনি।
ফরিদুর রেজা সাগর ছাড়া তার অন্য তিন সন্তান হলেন কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।
প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, রাবেয়া খাতুন তাঁর সাহিত্যকর্ম ও সৃজনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।