বই উৎসব উদ্বোধন
করোনা পরিস্থিতি ভালো না হলে স্কুল খুলবে না, অনলাইন শিক্ষা চলবে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০৪:১৯ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত স্কুল খোলা হবে না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে। এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বই উৎসব উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি। শুধু পাঠ্যবইয়ে মুখ গুঁজে না থেকে খেলাধুলা করতেও শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন। এছাড়া ছেলেমেয়ের শারিরীক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য তাদের সাথে সময় কাটাতে অভিভাবকদের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বছরের শেষ দিনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, বই উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৬ শিক্ষার্থীর জন্য মোট ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৪টি বই ছাপছে এনসিটিবি।
আরও পড়ুন**এবার পাঠ্যবই দেওয়া হবে যেভাবে
করোনাকালে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার দুরহ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একদিনে নয়, শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় ভাগে ভাগে সময় নিয়ে বই বিতরণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জীবন গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো মূল্যে সবাইকে সুস্থ থাকতে হবে। তাই বই বিতরণ কাজে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজগুলো করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ করে মাস্ক পরার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। ভিটামিন সিযুক্ত খাবার গ্রহণের কথাও বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন-
‘আমি জানি এই করোনায় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ঘরে বসে থেকে সবচেয়ে কষ্টে আছে শিক্ষার্থীরা। কারণ ঘরে থাকা আসলেই কষ্ট। তাদের মনটা ভালো করার জন্য, এই করোনার মধ্যেও্ বই ছাপানো হয়েছে তাদের জন্য। নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের মনটা ভালো হয়ে যাবে। তারা বইটা হাতে নিয়ে দেখবে, গন্ধ শুকবে, মলাট লাগাবে। বই পড়ার জন্য আগ্রহ তৈরি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা শুরুর কিছুদিন পরই সরকার চিন্তা করেছে, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় কোনো ছেদ টানা যাবে না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সংসদ টেলিভিশনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য 'আমার ঘরে আমার স্কুল'এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য 'ঘরে বসে শিখি' শিরোনামে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন-
‘যখনই স্কুল খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হলো তখনই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলো। আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা আছে। প্রয়োজনে ছুটি বাড়ানো হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত স্কুল খোলা হবে না। অনালাইনেই লেখাপড়া যেমন চলছে তেমনই চলবে ’
ঘরবন্দি শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ভালো রাখার জন্য সাইকোলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনা করে কাউন্সিলিংয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, সরকার সে ব্যবস্থা করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সংশ্লিষ্টরা।