কাঠের স্যাটেলাইট তৈরি করবে জাপান
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার আপডেট: ০৬:১১ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ ও যোগাযোগের জন্য মহাকাশে স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) পাঠায় বিভিন্ন দেশ। একটা পর্যায়ে সেবা দেয়ার পর সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবর্জনা হয়ে মহাকাশে পড়ে থাকে। ফলে সেখানে জঞ্জাল তৈরি হয়।
সেসব কমাতে কাঠের স্যাটেলাইট তৈরি করছে জাপান। দেশটির কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সুমিটোমো ফরেস্ট্রি যৌথভাবে এ কাজ করছে।
কোম্পানিটি বলছে, গাছের বৃদ্ধি এবং মহাকাশে কাঠের জিনিসপত্র ব্যবহারে গবেষণা শুরু করেছে তারা। তাপমাত্রা পরিবর্তন এবং সূর্যালোকে উচ্চমাত্রায় প্রতিরোধী কাঠের উপকরণ উন্নত করতে কাজ হচ্ছে।
বিশ্বের চরম ভাবাপন্ন পরিবেশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠও পরীক্ষা করছে কিয়োটো- সুমিটোমো।
সম্প্রতি মহাকাশে ব্যাপক হারে স্যাটেলাইটের ব্যবহার বেড়েছে। ফলে সেখানে আবর্জনার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর পদার্থ নির্গমন না করে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠে প্রত্যাবর্তন কালে মাটিতে ধ্বংসাবশেষ না ফেলে কাঠ দিয়ে তৈরি স্যাটেলাইট পুরোপুরি পুড়ে যাবে। সেই সমস্যা সমাধানেই কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জাপানের নভোচর টাকাও ডই বলেন, সব স্যাটেলাইটই বিশ্ব বায়ুমণ্ডলে ফেরার পর পুড়ে যায়। সেগুলো সেখানে ক্ষুদ্র অ্যালুমিনা কণা সৃষ্টি করে। দীর্ঘ সময় এ র ওপরে ভেসে বেড়ায়। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পৃথিবীর জন্য হুমকি।
তিনি বলেন, এ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাই বিকল্পের সন্ধানে নেমেছি। আমাদের গবেষণার পরের ধাপ হচ্ছে কাঠের স্যাটেলাইটের ইঞ্জিনিয়ারিং মডেল উন্নত করা। এরপর ফ্লাইট মডেল তৈরি করব।
যোগাযোগ, টেলিভিশন, নৌ-চলাচল ও আবহাওয়া পূর্বাভাসে স্যাটেলাইটের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যমতে, পৃথিবীর চারদিকে প্রায় ৬০০০ স্যাটেলাইট রয়েছে। কাছাকাছি এগুলোর ৬০ শতাংশই জঞ্জাল। অদূর ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।