অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন ট্রাম্প, ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৭ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২৫ রোববার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ' করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়ো। শুধু তাই নয়, 'মার্কিন হস্তক্ষেপ বিশ্বের আইন হয়ে উঠেছে' এমনটাও মন্তব্য করেন তিনি।
ফরাসি ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি পার্টির প্রাক্তন নেত্রী এবং তিনবারের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লে পেনকে সম্প্রতি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর এই নেত্রীকে 'মুক্ত' করার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে, ট্রাম্প লে পেনকে 'ডাইনি হান্ট'-এর শিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক বিশ্বাসের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, 'ফ্রি মেরিন লে পেন!'
এরপর গতকাল শনিবার প্রকাশিত লে প্যারিসিয়েন ম্যাগাজিনের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী বেয়রুকে জিজ্ঞাসা করা হয়ে, তিনি কি বিশ্বাস করেন যে, ট্রাম্পের কথা ফরাসি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ?
জবাবে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, এবং এই হস্তক্ষেপ বিশ্বের আইন হয়ে উঠেছে।' তিনি আরও বলেন, 'দেশে যা ঘটে, তা ওয়াশিংটনে পৌঁছে যায়।'
ফরাসি প্রধানমন্ত্রী আগের অবস্থা আর এখনকার অবস্থার তুলনা করে বলেন, এক শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ ধরে আমরা বিশ্বাস করে আসছি যে, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন নিয়ে আমাদের ধারণাটি অপ্রতিরোধ্যভাবে বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের চারপাশের জোটটি ঠিক এটাই ছিল : স্বাধীনতার জোট। আমরা হঠাৎ আবিষ্কার করছি যে, পৃথিবী বদলে গেছে।
এর আগে, গত সপ্তাহে প্যারিসের একটি আদালত লে পেনকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়। সাজার মধ্যে দুটি স্থগিত রয়েছে এবং বাকি দুটি সাজার অধীনে তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হবে।
সেই সঙ্গে তার রাজনৈতিক পদে থাকার ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। এটি কার্যকরভাবে তাকে ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে অযোগ্য করে তোলে।
প্রসিকিউটরদের মতে, প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সহকারীদের কাজ পরিচালনার জন্য ইইউ তহবিল ব্যবহার করে ফ্রান্সের কর্মীদের বেতন দিয়েছিলেন। তবে তিনি অন্যায় কাজের কথা অস্বীকার করেছেন এবং রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।