বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫১ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২৫ রোববার

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে অবশেষে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ বহিঃনিরীক্ষকের অডিটে বিভিন্ন অনিয়ম- জালিয়াতিতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে। পাশাপাশি এমডির অনিয়ম তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।
রোববার (০৬ এপ্রিল) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সভায় ব্যাংকটির অতিরিক্ত এমডি ওমর ফারুক খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক ব্যাংকার ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান করে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলমের মালিকানাধীন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নতুন পর্ষদ গঠনের পর অনিয়ম খুঁজতে চারটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়।
ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এসব নিরীক্ষায় এস আলম- সংশ্লিষ্ট প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার ঋণে অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। এতে এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় এমডিকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী তাঁকে যেন অপসারণ করে, এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে তাঁর অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে চিঠি দেবে ইসলামী ব্যাংক। সাধারণত ব্যাংকের এমডিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক উদ্যোগী হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিচ্ছে।
ইসলামী ব্যাংক তদারকিতে যুক্ত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, এস আলম পালিয়ে গেলেও এমডি বহাল তবিয়তে ছিলেন। এটি ব্যাংকটির কর্মকর্তারা কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না। এ জন্য পর্ষদ বাধ্য হয়ে এমডিকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এ ছাড়া নিরীক্ষা প্রতিবেদন স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য এমডিকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না।