অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মার্কিন শুল্ক নীতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক চলছে 

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২০ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার ইস্যু নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা জরুরি বৈঠক চলছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক বসেছে। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার পর এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার  হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান প্রমুখ। 

গত বুধবার (২ এপ্রিল) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ২টা) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে বাংলাদেশি পণ্যে এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।

হোয়াইট হাউস প্রকাশিত চার্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তাই বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ ‘ডিসকাউন্টেড রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ ধার্য করা হয়েছে।

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর ২০ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৩৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ, ইসরায়েলে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ১৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ১০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশ, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সরকারের নীতিনির্ধারকরা আজকের বৈঠকে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া, কৌশলগত করণীয় এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন এই সিদ্ধান্ত শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে।