অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সাড়ে ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে মাতারবাড়িতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার   আপডেট: ০৫:৩২ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো ভিড়বে মাদার ভেসেল। পানামার পতাকাবাহী ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’ নামক জাহাজটির ড্রাফট হচ্ছে সাড়ে পাঁচ মিটার (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতা)। পরীক্ষামূলকভাবে নির্মিত চ্যানেল হয়ে আনলোডিং জেটিতে ভিড়বে জাহাজটি।

ভেনাস ট্রায়াম্প’ গত ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার ‘পেলাভুবন সিলেগন’বন্দর থেকে মাতারবাড়ির কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নিয়ে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজটি ২০০৯ সালে নির্মিত একটি জেনারেল কার্গো শিপ।  এটি ১২০ মিটার লম্বা ও ৯ হাজার ৬৮০ টন ওজন ক্ষমতাসম্পন্ন।

চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোঃ আতাউল হাকিম সিদ্দিকি বলেন, মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মাতারবাড়ি বন্দরে জাহাজটি ভেড়ার কথা রয়েছে। সেটি ড্রাফট হচ্ছে সাড়ে পাঁচ মিটার। 
   
তিনি আরো বলেন, জাহাজ ভেড়ানোর জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রবেশ পথে ছয়টি বয় বসানো হয়েছে। জাহাজটি যে চ্যানেল দিয়ে ভিড়বে সেটির প্রস্থ হচ্ছে ২৫০ মিটার, গভীরতা ১৮ মিটার ও ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। বঙ্গোপসাগর থেকে এই চ্যানেল দিয়েই বন্দর জেটিতে প্রবেশ করবে জাহাজ।

আরও পড়ুন-**২০’র বড় ১০ 

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি আরেকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চালুর পর সপ্তাহে অন্তত দুটি জাহাজ চ্যানেল দিয়ে আসবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা মাতারবাড়ী পর্যন্ত বিস্তৃত। এ জন্য পোর্ট অব কল ধরা হবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। জাহাজ ভেড়া থেকে মাসুল আদায় পর্যন্ত সব কিছুই করবে চট্টগ্রাম বন্দর।

পড়ুন-**সুনীল অর্থনীতি, এমপিডিপি হবে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ প্রযুক্তির!

**বন্দরের ব্যাপ্তি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, পাঁচ প্রকল্প পাইপলাইনে

মূলত মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য কৃত্রিম চ্যানেল খনন করে জাহাজ ভেড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল। পরে সেটি সমুদ্র বন্দরে রূপ দিতে কাজ শুরু করে সরকার। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। 

দুই ধাপে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের মধ্যে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কাজ শেষ হওয়ার পর এই বন্দরে ভিড়তে পারবে ১৮ মিটার ড্রাফ্টের জাহাজ। সাধারণত ১৪ মিটার গভীরতার জাহাজ যে বন্দরে ভিড়তে পারে, সেটাকে গভীর সমুদ্রবন্দর বলা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার লম্বা ও ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ জেটিতে ভেড়ানো যায়।

আরও পড়ুন-**মাতারবাড়ি চ্যানেল দিয়ে জেটিতে ভিড়বে মাদার ভেসেল, আরেক মাইলফলক