করোনায় তিন বিচিত্র ব্যক্তিগত উদ্ভাবন!
সাতরং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার আপডেট: ১২:১৭ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
বলা হয় প্রয়োজনই আবিষ্কারের জনক। বিশ্ব বদলে দেয়া করোনাও সামনে এনেছে নতুন নতুন প্রয়োজন। কর্মস্থল কিংবা বিদ্যালয় ছেড়ে ক্লাস ও কাজ করতে হচ্ছে অনলাইনে, মানতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্বও। এমন অবস্থা ব্যবসা বেড়েছে ভিডিও কলিং অ্যাপ জুমের। জাপানি প্রতিষ্ঠান বের করেছে আট ভাষায় অনুবাদ করতে পারা মাস্ক। কিন্তু সবার তো সমস্যায় সমাধান হয়নি, কিছু কিছু মানুষকে করতে হয়েছে নিজস্ব ‘জোগাড়’। নিচে এমন তিনটি আবিষ্কারের কথা তুলে ধরা হলো, যা ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে।
চেক জীবানুমুক্ত করতে ইস্ত্রি ব্যবহার
টুইটারে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যাংকের এক ক্যাশিয়ারকে চেক হস্তান্তর করছেন গ্রাহক। ক্যাশিয়ার চেকটি হাতে না নিয়ে দুটি স্কেল দিয়ে ধরলেন, তারপর পাশে থাকা ইস্ত্রি মেশিনের নিচে দু’পিঠই রেখে চেকটি জীবানুমুক্ত করার চেষ্টা করলেন। এরপরই নিজ হাতে চেকটি নিলেন।
মাত্র ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় তিন লাখ বার আর রিটুইট করেছেন ৪ হাজার ৭শ মানুষ।
ভিডিওটি শেয়ার করা একজন লিখেছেন, ‘আমি জানিনা এভাবে চেকটি জীবানুমুক্ত হবে কিনা, তবে সৃজনশীলতার জন্য অবশ্যই তার প্রশংসা করতে হবে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দুধ বিক্রেতার আবিষ্কার
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যখন উর্ধ্বমুখী তখন নিজের ব্যবসা চালাতে দারুণ বুদ্ধি বের করলেন এক দুধ বিক্রেতা। নিজের মোটরসাইকেলের পিছনে লাগিয়ে নিলেন একটি পাইপ, যার মুখে আছে একটি ফানেল। এর সাহায্যে সামাজিক দূরত্ব মেনেই ক্রেতাদের দিতে পেরেছেন দুধ।
হ্যাঙ্গার ট্রাইপড
মোবাইল হাতে নিয়ে একই সাথে শিক্ষার্থীদের পড়া বোঝানো ও বোর্ড দেখানো তো সম্ভব নয়, পাশাপাশি লকডাউনের ফলে বাজারে যাওয়াও অসম্ভব। এই সমস্যা সমাধানে কাপড় ঝুলানোর হ্যাঙ্গার আর রশি দিয়ে ট্রাইপড বানিয়ে নিলেন ভারতের পুনে রাজ্যের এক রসায়ন শিক্ষিকা। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া সেই দৃশ্যে দেখে সবাই অভিভাবন জানান এই শিক্ষিকাকে।