টিউলিপের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় লেবার পার্টি
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্পে দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট তদন্তে উঠে এসেছে ব্রিটিশ শ্রমমন্ত্রীর নাম। পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের সময় এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তবে এই দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি।
যুক্তরাজ্যের আর্থিক বাজারে দুর্নীতি মোকাবেলার দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করার অভিযোগ রয়েছে।
গত আগস্টে ভারতে পালিয়ে যাওয়া টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিস্তৃত তদন্তের অংশ হিসেবে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য টিউলিপের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিবিসি। লেবার পার্টিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, ববি হাজ্জাজের একগুচ্ছ অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই তদন্ত করা হয়েছে। টিউলিপের মা শেখ রেহানা সিদ্দিকসহ তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং তার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করছে দুদক।
প্রতিবেদন বলছে, দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা শেখ হাসিনাকে একজন স্বৈরশাসক হিসেবে দেখা হতো। তার সরকার নির্মমভাবে ভিন্নমত দমন করেছিল। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নতুন সরকার একাধিক অপরাধের অভিযোগ এনেছে।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সংঘটিত 'মানবতাবিরোধী অপরাধে' জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে খুঁজছে। এছাড়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার পরিচালক সৈয়দ ফারুক বলেন, এসব দাবি 'বানোয়াট'।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের দল থেকে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট আসনে এমপি নির্বাচিত হন সিদ্দিক। বিবিসির হাতে আসা আদালতের নথিতে দেখা যায়, ববি হাজ্জাজ টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য রাশিয়া সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতা ও সমন্বয়ের অভিযোগ আনেন।
নথি অনুসারে, অনিয়মের ৩০ শতাংশ অর্থ ব্যাংক এবং বিদেশি সংস্থাগুলোর একটি জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টিউলিপ এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
সব মিলিয়ে ববি হাজ্জাজের অভিযোগ, হাসিনার পরিবার ও মন্ত্রী এই প্রকল্প থেকে ৩৯০ কোটি পাউন্ড পাচার করেছেন।
২০১৩ সালের ফুটেজে দেখা গেছে, ক্রেমলিনে শেখ হাসিনা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে টিউলিপ সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।