অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আউশ আবাদে রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার  

ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া এবং উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় আউশ ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কৃষকরা।

- অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে চলতি মৌসুমে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ এই উপজেলায়।

- এই আবাদে খরচ কম উৎপাদন আশানুরূপ।

- উৎপাদন সময় এক মাস কম লাগে।

- আউশধান চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনা দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় আউশ ধানের আবাদ বেড়েছে রেকর্ড পরিমান। কৃষকদের আউশ ধান রোপনে আগ্রহী করতে ৯০০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়। প্রকল্পের ৯০০ কৃষকের সাফল্য দেখে হাজার হাজার কৃষক আউশ ধান আবাদে উৎসাহী হয়েছেন।

বর্ষা মৌসুমে সেচ সুবিধার প্রয়োজন না হওয়ায় উৎপাদন খরচও কম হয়। এমনকি আমন ও বোরো ধানের চেয়ে ৩০ দিন কম সময়ে দ্রুত ফসল ঘরে তোলা যায় বলে এ ফসল কৃষকের জন্য আশির্বাদ।

তাই চলতি বছরে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান রোপন করে প্রথম অবস্থানে রয়েছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। এমনকি সারাদেশের মধ্যে আউশধান উৎপাদনে এ উপজেলার অবস্থান তৃতীয়।

এ বছর উপজেলাটিতে আউশ ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আউশ ধানের চাষাবাদ হয়েছে সোয়া ৮ হাজার হেক্টর জমিতে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ বেড়েছে ৩ হাজার হেক্টর। যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে এখন আউশধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এরমধ্যে রামজীবন, ধোপাডাঙ্গা, কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, বামনডাঙ্গা ও ছাপরহাটী ইউনিয়নে আউশ ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। আর এসব আবাদ সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

‘কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আউশধান রোপণ করেছি। আউশধান আবাদে উৎপাদন খরচ কম। পানি সেচ দেয়ার দরকার হয় না। সেই সাথে কিটনাশক ও স্যার দিতে হয় কম। ফলনও আশানুরূপ।’
- আব্দুল আজিজ
কৃষক
রামজীবন ইউনিয়ন।

‘আমরা আউশধান চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ৯০০ জনকে প্রণোদনা দিয়েছি। গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আউশধান রোপন করা হয়েছে। যা পূর্বের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে আউশধান আবাদে।’
- সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা
সুন্দরগঞ্জ।

চলতি বছর এ উপজেলা আউশধান রোপনে সারাদেশে তৃতীয় ও উত্তরাঞ্চলে প্রথম অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।