অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা নিয়ে তারেক রহমানের পোস্ট

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১২ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার  

স্বৈরশাসনের পতনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় কিছু মহলে অপপ্রচার ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রবণতা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। 

পোস্টে তারেক রহমান বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ও কিছু রাজনৈতিক মহল থেকে অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এই প্রোপাগান্ডা দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাম্প্রতিক সময়ে, আগরতলায় বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা এই অপপ্রচারের একটি ফলাফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এই হামলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তির জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসন পতনের পর বাংলাদেশ একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। তবে এই পরিবর্তনের ফলে ভারতে উসকানিমূলক বক্তব্য ও ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতাও বেড়েছে। ভারতীয় কিছু মহল থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে যে ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চলছে, তা শুধু জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে না, বরং সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ককেও ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

তবে ভারতকে বিশেষ ব্যক্তি এবং দলের বাইরে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কস্থাপনের গুরুত্ব বুঝতে হবে বলে তাগিদ তুলে ধরেছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কারণ কী, তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে কী ঘটছে এবং কেন কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা অপরিহার্য- তা বস্তুনিষ্ঠভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। 

একইসঙ্গে আগরতলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যেনও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, সে জন্য দেশবাসী এবং সমর্থকদের সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, কিন্তু আমরা মূলত ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের দেশ ছিলাম এবং থাকব, যেখানে জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত। আমি আমার সহকর্মী বাংলাদেশীদেরকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য এবং কোনো উসকানির শিকার না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়। এতে অংশ নেয় ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা। এদিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েক শ লোক বিক্ষোভ করে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।