আকাশ থেকে গোলাবর্ষণ মহড়ায় বিমানবাহিনী প্রধান
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী টাঙ্গাইলের রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে আকাশ থেকে ভূমিতে গোলাবর্ষণ মহড়া-২০২৪ (এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট) পরিচালনা করেছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে উপস্থিত থেকে মহড়ার বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
অন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, এই প্রদর্শনীর প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা প্রদর্শন করা এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। মূলত এ মহড়ার মাধ্যমে বিমানবাহিনীতে বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকরী যুদ্ধ সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকগুলো নির্ণয় করতে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মহড়ায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে বিদ্যমান যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান এবং হেলিকপ্টারগুলো অংশগ্রহণ করে। মহড়ার উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে বিমানবাহিনীর চৌকস বৈমানিকরা আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশলসহ যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে আক্রমণ, আকাশ থেকে শত্রু কবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ এবং স্পেশাল অপারেশনসহ সব ধরনের রণকৌশল অনুশীলন করেন।
প্রদর্শনীতে বিমানবাহিনীর মিগ-২৯বি/ইউবি, এফ-৭/এফটি-৭ এবং কে-৮ডব্লিউ যুদ্ধবিমানগুলো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাদের নির্ভুল আক্রমণ ক্ষমতা এবং তৎপরতা প্রদর্শন এবং শত্রুর ব্যুহ ভেদ করে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু নির্মূল করে। এএন-৩২ পরিবহন বিমান রশদ সরবরাহ, কার্গো ড্রপ ও এয়ারলিফ্ট অপারেশন পরিচালনা করে। এছাড়া এমআই-১৭, এডব্লিউ-১৩৯ এবং বেল-২১২ হেলিকপ্টারগুলো আকাশ থেকে ভূমিতে গোলাবর্ষণ, ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
আইএসপিআর আরও জানায়, এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট বিমানবাহিনীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন, যা বাংলার আকাশকে শত্রু বিমানের আক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বিমানবাহিনীর বৈমানিকদের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এই মহড়ার মাধ্যমে বৈমানিক এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোলাররা নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং যুদ্ধাস্ত্রের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। যদিও বিমানবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে আকাশকে শত্রু বিমানের আক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষা, তবে অন্যান্য বাহিনীকে ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট দেওয়াও অপরিহার্য কাজগুলোর মধ্যে একটি।
এই মহড়া বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বৈমানিকরা ও সব সদস্যের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে আকাশ থেকে সুনির্দিষ্ট হুমকি মোকাবিলা করার কৌশলগুলোকে পরিমার্জিত করতে সহায়তা করবে। গোলাবর্ষণ মহড়ায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং অন্য সদস্যরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।