অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৭ জনে। এছাড়া গত একদিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৪ জন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৮৩, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৮৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬০, খুলনা বিভাগে ১৪৫ জন রয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৩৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৫ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন এবং সিলেট বিভাগে ৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮৩ হাজার ১৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী রয়েছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২৭ জনের। এর মধ্যে মহিলা ৫০ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং পুরুষ ৪৯ দশমিক ৪০ শতাংশ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।