অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ: তারেক রহমান
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ, এই সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের আন্দোলনের ফসল। বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হব।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ‘জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা বসে নেই। তাই এই সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হব। তাদের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীতে যাচ্ছে, জনগণ ভাবছে সরকার নিজেদের ভালো সিদ্ধান্তগুালো চাপিয়ে দিতে চাইছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশন সংস্কার করছে। জনগণ মনে করছে তারা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবেন। মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাচ্ছে, জনগণ এটা বুঝতে পারলে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা বাড়বে।
এ সময় দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার বিপরীতে মাফিয়াচক্র দেশকে আমদানি ও ঋণনির্ভর করেছে বলে অভিযোগ করেন তারেক রহমান।
তিনি জানান, বিএনপির সময় ১০ হাজারের বেশি পোশাক তৈরি কারখানা থাকলেও বর্তমানে তা ৩ হাজারের কাছাকাছি। কারণ, মাফিয়া চক্র ও পতিত স্বৈরাচার সরকার দেশকে আমদানি ও ঋণ নির্ভর করেছে। এ অবস্থা থেকে বের করে দেশকে স্বনির্ভর করতে হবে। এই লক্ষ্য পূরণে জনগণের সমর্থন পেলে বিএনপি নানামুখী উদ্যোগ নেবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়েোগ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, প্রবাসী বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং এসএমই বিনিয়োগ জটিলতামুক্ত করতে বিএনপি কাজ করছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ প্রকৃত অবস্থায় ফিরে এসেছে, কারণ পতিত স্বৈরাচার পালিয়েছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের ১৬ বছরের জঞ্জাল তিনমাসে দূর করা সম্ভব নয়, কিন্তু তাদের কাজে সন্তুষ্ট না হলে জনগণের প্রশ্ন তোলাও অস্বাভাবিক নয়। কোনো ভুল পদক্ষেপে সমালোচনা হবেই, সরকারের অদক্ষতা হিসেবে তা বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে আহতরা যখন সুচিকৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে সড়কে নেমে আসে, তা খুবই বিব্রতকর। আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি অগ্রাধিকার তালিকায় কোন পর্যায়ে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা ও পণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় কোন পর্যায়ে আছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বলে জানান তারেক রহমান।