অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পেজার হামলা, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৮ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার  

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বর মাসে পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তার অফিস। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ওমের দোস্তরি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন। 

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাজার হাজার পেজার একযোগে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিসহ হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিগুলোতে বিস্ফোরিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ডিভাইসগুলো থেকে বিপিং সিগনাল পাওয়ার পরই বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও প্রথমে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে সোমবার তারা এই ঘটনার দায় স্বীকার করে।

হিজবুল্লাহর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এটি গোষ্ঠীটির জন্য সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন।” বিস্ফোরণের পর আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, অনেকেই এতে চোখ হারিয়েছেন এবং কারও আঙুল উড়ে গেছে। পেজার বিস্ফোরণের পরদিন ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে অন্তত ৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ আহত হন।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু হামলার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা পেজার বিস্ফোরণের বিরুদ্ধে মত দিয়েছিলেন, কিন্তু নেতানিয়াহু সিদ্ধান্তটি নিজেই নেন।

উল্লেখ্য, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে অপেক্ষাকৃত কম প্রযুক্তির মাধ্যম হিসেবে পেজার ব্যবহার করতেন, যা একটি বেতার টেলিকমিউনিকেশন ডিভাইস। হিজবুল্লাহর কমান্ডাররা ইসরায়েলের উচ্চ-প্রযুক্তির নজরদারি এড়াতে এই ডিভাইসটি ব্যবহার করতেন। তবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও প্রযুক্তিগত ক্ষমতার মাধ্যমে এই সরল যোগাযোগ পদ্ধতিকে ভেদ করা সম্ভব হয়েছে, যা হিজবুল্লাহর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।