অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

১৫৯ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার  

তৃতীয় দিনের শুরুতেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ। ৪৮ রানে হারায় ৮  উইকেট। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় ফলোঅনে পড়তে যাচ্ছে তারা। কিন্তু নবম উইকেটে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশকে যতদূর সম্ভব টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে মুমিনুল ৮২ রানে ফিরতেই ভাঙে ১০৩ রানের জুটি। তার পর আর টেকেনি স্বাগতিকদের প্রতিরোধ। তাইজুল শেষ উইকেট হিসেবে মহারাজকে ক্যাচ দিলে প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ১৫৯ রানে। বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ৪১৬ রানে।

চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৫৭৫ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ঘোষণা করলে শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ যেন দিশেহারা। দিনের খেলা সমাপ্ত হওয়ার আগে ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ৩৮ রান। এরপর শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ নতুন সকাল শুরু করে। 

নতুন সকালেও সেই পুরানো বিপর্যয়। ৪ উইকেটে ৪৬ রানে থাকা বাংলাদেশ ৪৮ রানে পৌঁছাতেই উইকেটসংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮'এ। আগের দিন ৪ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আজ ফের ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ মিনিটও টিকলেন না। কাগিসো রাবাদা অবশ্য শান্তকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি, পরের ওভারে এসে শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও। 

ব্যক্তিগত ৯ রানে শান্ত ফিরলে মুশফিকুর রহিম এসে হন ডাক। ১ রানের বেশি করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষেক ইনিংসে কেবল দুই বল খেলার সুযোগ পান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, তাকে শূন্য হাতে বিদায় করে রাবাদা পূর্ণ করেন ফাইফার। একমাত্র ভরসা হয়ে ক্রিজে থাকেন মুমিনুল হক। 

সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। ধংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে ফিফটি করেন মুমিনুল। তিনি ছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। তবে ব্যক্তিগত ৮২ রানে মুথুসামির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মুমিনুল। এতে ভেঙে যায় নবম উইকেটে তাইজুলের সঙ্গে তার ১০৩ রানের জুটি। শেষ উইকেট হিসেবে তাইজুল ৩০ রানে আউট হন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাদা সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন।