অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

৭-১ ব্যবধানে ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ রোববার  

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র দিয়ে শুরু করে টাইগ্রেসরা। ড্রয়ে সেমিফাইনালে খেলা কিছুটা কঠিন করে তুলে পিটার বাটলারের দল। তবে ভারতের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে গ্রুপের শীর্ষ হয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর শেষ চারের ম্যাচে আজ ভুটানের জালে গোল গোল উৎসবে মাতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ পর্যন্ত তহুরার হ্যাটট্রিকে ৭-১ গোলে ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে বাংলাদেশ। 

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একাদশে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে গোল করেছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। চোটের কারণে আজ দলে নেই তিনি। তার বদলে আজ খেলছেন সাগরিকা। 

বাংলাদেশের হয়ে প্রথমার্ধে প্রথম গোলটি করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। দুর্দান্ত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। লিড নেয়ার পর টাইগ্রেসদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন তহুরা খাতুন ও সাবিনা খাতুন। এ দুজনের জোড়া গোলে প্রথমার্ধেই ৫ গোলের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। 

ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। তহুরার বাড়িয়ে দেয়া বলে দুর্দান্ত এক শটে জাল খুঁজে নেন ঋতুপর্ণা। ১৫ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তহুরা। এরপর ২৬ মিনিটে গোলের দেখা পান অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও। 

এদিকে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তহুরা। এর দুই মিনিট পরই নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন সাবিনা। বাংলাদেশ ৫ গোল দেয়ার পর অবশ্য একটি গোল দিয়েছে ভুটান। ভুটানের হয়ে গোলটি করেন ডেকি লাহজম।  বিরতির আগে ভুটান এক গোল ফেরত দিলেও বাংলাদেশের দাপট ছিলো স্পষ্ট।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ম্যাচের ৫৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তহুরা। তাতে ৬-১ গোলের জয়ে লিড নেয় টাইগ্রেসরা। এবারের টুর্নামেন্টে এ নিয়ে পাঁচ গোল হলো তহুরার। এরপর আক্রমনে ওঠে ভুটান। তবে সেভাবে সুযোগ করতে পারেননি তারা। এরপর ম্যাচের ৭২ মিনিটে লিড আরও বাড়ায়ে ৭-১ করে বাংলাদেশ। 

গোলমুখের সামনে থেকে হেডে বক্স কাঁপান মাসুরা। ম্যাচের শেষ দিকে ৮৭ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ আসে বাংলাদেশের। তবে সুমাইয়া মাতসুশিমা সেই সুযোগ নষ্ট করে। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে ৭-১ গোলের ব্যবধানের জয়ে সাফের ফাইনালের টিকিট কাটে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।