অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার  

ভারতের ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। এর প্রভাবে ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চল ও পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার খবর বলছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১২ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি রয়েছে ১২০ কিলোমিটার।

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া চলবে। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।‌

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় ওড়িশা থেকে ১০ লাখ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ৩ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুই রাজ্যেই স্কুল ও কলেজ আগামীকাল শনিবার বন্ধ থাকবে।

দানা’র প্রভাবে কলকাতা শহরে বৃষ্টি হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে  ঝড়বৃষ্টি চলছে। দিঘা, মন্দার মণির মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ দিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় (২০,৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি গতকাল মধ্যরাতে (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আজ (২৫ অক্টোবর) সকালের মধ্যে ভারতের পুরী ও সাগর দ্বীপ এর মাঝখান দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।