রান্নায় বিশ্বসেরা আবির, বানালেন বাংলাদেশি খাবার
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৩ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোববার
দারুণ নৈপুণ্যে বড় বড় চিংড়ি মাছে মশলা মাখাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের এক নারী, ব্যাকগ্রাউন্ডেও বাজছে বাংলা গান। রান্না শেষ হতেই ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত আর চিংড়ি মালাইকারী পরিবেশনে বাংলাদেশের ছোট একটি পতাকা বসিয়ে দিলেন লাল-সবুজ শাড়ি পরা সেই নারী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তাঁর প্রোফাইল থেকে দেখা যায়, শুধু বাংলাদেশই নয়, পৃথিবীর বহু দেশের ঐতিহ্যবাহী রান্নার ভিডিও রয়েছে তাঁর লিস্টে। নেপথ্য সংগীত আর পোশাকেও তিনি তুলে ধরেছেন সেই দেশটির সংস্কৃতি।
ভিন্নধারার এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের নাম আবির আল সাঘির। ১৯৯৮ সালে লেবাননে জন্ম তাঁর। বর্তমানে ভিডিও শেয়ারিং সাইট টিকটকে ২৩ মিলিয়নের বেশি লোক তাঁকে অনুসরণ করে, তাঁর ভিডিও উপভোগ করে।
‘প্রিয় নারী ইনফ্লুয়েন্সার’ হিসাবে গত বছর মধ্যপ্রাচ্যের সম্মানজনক জয় অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আবির; আরব বিশ্বের শৈল্পিক কৃতিত্বকে স্বীকৃতি ও সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে ১৩টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ছোটবেলা থেকেই রান্না ভালো লাগত আবিরের। মাত্র ১২ বছর বয়স থেকে নিয়মিত রাঁধেন তিনি। যদিও রান্নার ভিডিও দেওয়া শুরু করেন ২০২১ সাল থেকে। অনেকটা মজার ছলেই টিকটকে ভিডিও দেওয়া শুরু করেন তিনি।
অরেঞ্জ কেকের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আবির পরিচিত হয়ে ওঠেন সবার কাছে। আবির মনে করেন, উপস্থাপনা আর নেপথ্য সংগীত প্রশান্তিদায়ক হওয়াতেই তা মানুষের মনে ধরেছিল। তবে আবিরের ভাষ্যে তিনি রান্নার ভিডিও দেন না। তাঁর ভিডিওতে থাকে রান্নার ‘ভাইব’- রেসিপি নয়, বরং এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যাপারগুলো ফুটিয়ে তোলা আবিরের কাজ।
‘ইন্টারনেট এখন রান্নার ভিডিওতে সয়লাব। এক চকলেট কেকেরই ভুঁড়িভুড়ি রেসিপি পাওয়া যাবে। আমি তাই কখনোই আমার রান্নার রেসিপি দিতে চাইনি। আমি চেয়েছি রান্নাঘরের অন্য একটি দিক সবার সামনে তুলে ধরতে, রান্নার সময়কার অবস্থাটি ফুটিয়ে তুলতে।’
আবিরের লক্ষ্য, পৃথিবীর সব দেশের জাতীয় খাবার তৈরি করা।