পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে ৭ ঘরোয়া উপায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার
নারীর পিরিয়ডের দিনগুলোতে হরমোনের ওঠা-নামা হয় দ্রুত। তাই মুড সুইং বা মেজাজ পরিবর্তনের পরিস্থিতি দেখা যায়। এসময় বেশিরভাগ নারীরই পেট ও কোমরে অসহ্য ব্যথা, ক্লান্তি, বমির প্রবণতা ইত্যাদির প্রবণতা থাকায় সেই সময়টা আরো কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে পিরিয়ডের ব্যথা বিভিন্ন নারীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়।
সবার শরীরের একই জায়গায় ব্যথা হয় না আবার ব্যথার তীব্রতাও সবার একই রকম হয় না।
পিরিয়ডের সময় ব্যথা হয় কেন?
ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক ড. কেটি ভিনসেন্ট পিরিয়ডের ব্যথা নিয়ে গবেষণা করে বলেন, ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ নারীর ঋতুস্রাব যন্ত্রণাদায়ক হয় এবং এর মধ্যে অনেকের যন্ত্রণা এতো বেশি হয় যে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। জরায়ু গঠনকারী টিস্যু থেকে এসময় এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়, যার কারণে ব্যথা হয়। পিরিয়ডের সময় প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস নামে এক ধরনের পদার্থ জরায়ুর পেশিকে সংকুচিত করে এবং প্রদাহ তৈরি করে।
যার ফলে এই সময় ব্যথা হয়। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া কিছু উপায় চলুন জেনে নিই।
১. গরম পানির সেঁক
পিরিয়ডের ব্যথায় গরম পানির সেঁক খুব উপকারী। হট ব্যাগের মধ্যে গরম পানি নিয়ে পেটে সেঁক দিতে পারেন।
আবার গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও ব্যথা কমে কিছুটা স্বস্তি মেলে।
২. আদার রস খাওয়া
পিরিয়ডের সময় পেটের ব্যথা কমাতে আদার রস বেশ উপকারী। এসময় আদা চা পান করলে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া টুকরো আদার সঙ্গে মধু, চিনি ও গরম পানি যোগ করে তিন-চারবার পান করলে ব্যথা কমে যায়।
৩. পেঁপে
পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকর।
পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে যেতে পারে।
৪. ল্যাভেন্ডার তেল
পিরিয়ডের ব্যথার সময় পেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মালিশ করলে ব্যথা উপশম হয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ব্যথা কমতে সাহায্য করে।
৫. অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমতে শুরু করে।
৬. পানি
পিরিয়ডের সময় প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে। কেননা এই সময়টায় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই বেশি পরিমাণে পানি পান করা পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে দেয়।
৭. হালকা ব্যায়াম
পিরিয়ডের ব্যথার কমাতে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। সহজ-সরল যোগব্যায়াম অথবা হাঁটাচলা করতে পারেন। তবে এ সময় ভারি কোনো কাজ করা উচিত নয়। ব্যায়াম করার ফলে পেশির মোচড় কমতে প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া