অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কাশ্মীরে দ্বিতীয় দফার ভোটে বিপুল সাড়া

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫১ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার  

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬ আসনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বুধবার। এতে ভোট দিয়েছেন মোট ৫৬ দশমিক ০৫ শতাংশ ভোটার। জম্মু অঞ্চলের লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) প্রান্তে থাকা আসনগুলোতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার ভোট দেন। পাশাপাশি রিয়াসি জেলার গুলাবগড় আসনে ৭২ দশমিক ১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।

কাশ্মীরের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা পিকে পোল জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব মিলিয়ে কাশ্মীর উপত্যকার তুলনায় জম্মু অঞ্চলে ভোটারের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী নামের নবগঠিত আসনে সর্বোচ্চ ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। কাশ্মীরে লোকসভা আর বিধানসভা নির্বাচন মিলিয়ে গত সাতটি ভোটের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই হিসাব, বলেন তিনি। এর মধ্যে জম্মুর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা কিশতওয়ারে ভোটদানের হার ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। জম্মুর রামবান জেলায় ৭০ শতাংশ বা কাশ্মীরের কুলগামেও ৬৫ শতাংশ ভোটার পোলিং বুথে এসেছেন আর সর্বত্রই ভোট হয়েছে রীতিমতো উৎসবমুখর পরিবেশে।

অথচ এই কাশ্মীরেই কিছুকাল আগেও নির্বাচন মানেই ছিল হুরিয়ত কনফারেন্স বা বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদীর গোষ্ঠীর ভোট বয়কটের ডাক। ভোট দিতে গেলে জঙ্গি হামলার মুখে পড়তে হবে– ছিল এই আতঙ্কের চোরা স্রোতও। আর পাশাপাশি অভিযোগ উঠত, বয়কটের ডাক ব্যর্থ করতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জোর করে এক-আধটা আস্ত গ্রামকে বন্দুকের মুখে পোলিং বুথে নিয়ে গেছে, যাতে অন্তত এই ছবিটা তুলে ধরা যায়, কাশ্মীরে ভোট দিতেও মানুষের লাইন পড়ছে!

কিন্তু বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের ভোটাররা যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসছেন, তাতে কোনো সংশয় নেই। চেনা-অচেনা কোনো গোষ্ঠীই ভোট বয়কটের ডাক দেয়নি, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও জোর খাটানোর কোনো অভিযোগ ওঠেনি। তবে যে কোনো ‘সাফল্যে’র যেমন একাধিক দাবিদার থাকে, তেমনি কাশ্মীরের এই নাটকীয় পট পরিবর্তনের নেপথ্যে কী, তা নিয়েও অনেকগুলো মতবাদ আছে। ভারতের শাসক দল বিজেপি যেমন পরিষ্কার বলছে, পাঁচ বছর আগে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করে তারাই কাশ্মীরকে দেশের মূলধারায় ফিরিয়ে এনেছে। 
তবে শ্রীনগর ও এর আশপাশের সাধারণ মানুষ বলেন, পরিস্থিতির বেশ অনেকটা উন্নতি হয়েছে এতে কোনো ভুল নেই! কিন্তু বিজেপির এতে কোনো কৃতিত্ব নেই! বছরের পর বছর ধরে টানা অস্থিরতা আর সহিংসতায় ক্লান্ত হয়ে কাশ্মীরের আমজনতাই এবার স্থির করেছে, ঢের হয়েছে, আমরা নিজেরাই উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনব আর ভোট দিতে যাব। খবর বিবিসির।