স্মরণ সভায় বক্তারা
স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপসহীন ছিলেন আতাউস সামাদ
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিক আতাউস সামাদের ভূমিকা ছিল অনন্য। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। তিনি আপাদমস্তক একজন সাংবাদিকতার শিক্ষক ছিলেন। তার অবদান যুগে যুগে তরুণ সাংবাদিকদের পথ দেখাবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সাংবাদিক আতাউস সামাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সাংবাদিক রফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তৃতা দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সোহরাব হোসেন, বিশিষ্ট ছড়াকার আবু সালেহ, দৈনিক আমার দেশের বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টের সহ-সভাপতি একেএম মহসিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ডিইউজের সহসভাপতি বাসির জামাল ও আতাউস সামাদের ভ্রাতুষ্পুত্র ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
শওকত মাহমুদ বলেন, আতাউস সামাদ ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে অংশ নিয়েছেন। তিনি ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অনুঘটক ছিলেন। তিনি ১৯৯৪-৯৫ সালে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। তিনি শুধু সাংবাদিকই ছিলেন না, জাতির ক্রান্তিলগ্নে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।
সোহরাব হোসেন বলেন, আতাউস সামাদ অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ছিলেন অতি সাধারণ। তিনি যা দেখতেন তাই লিখতেন। তিনি বুদ্ধিজীবী হতে চাননি। তিনি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতেন। সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা থাকলেও ব্যক্তিগত কাজে তা কখনো ব্যবহার করতেন না।