সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার
রিমান্ডে গণহত্যার তথ্য দিচ্ছেন ব্যবসায়ী তানভীর
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৮ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার
ছাত্র-গণ আন্দোলন দমনে ব্যাপক অর্থ, অস্ত্র ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছিলেন গুলশানের বিতর্কিত ব্যবসায়ী তানভীর আলী। তারই প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহায়তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আবির।
আদালতের নির্দেশে আব্দুল্লাহ আল আবিরকে হত্যার অভিযোগে তানভীর আলীসহ দেড় থেকে দুই শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ আসামি তানভীর আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আসামি তানভীর আলীর বিরুদ্ধে বিগত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার অবৈধ অর্থ উপার্জন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সেলিনা আক্তার ধর্ষণের মামলা করে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাকে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তার করেনি। অবৈধ অর্থ উপার্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন একাধিকবার নোটিশ করলেও তিনি হাজির হননি।
সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির এবং অবৈধ অর্থ উপার্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে এবং তাকে একাধিকবার নোটিশও করা হয়েছে।
জানা গেছে, ছাত্র-গণহত্যার অভিযোগে গত শনিবার দেশত্যাগ করে পালানোর সময় গুলশানের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক পর্যায়ে তানভীর সরকারি দলের সদস্য ও বিগত সরকারকে সহায়তার কথা স্বীকার করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই রুমিন মিয়া জানান, ছাত্র গণহত্যার অভিযোগে নেয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি তানভীর আলীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আদালতের অনুমতি নিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলা সম্পর্কে, হত্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
তানভীর আলীসহ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জাকের হোসেন বাবুল ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, শিমুল ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, আনিসুর রহমান সুজন গুলশান থানা ছাত্রলীগ, মানিক গুলশান থানা ছাত্রলীগ, সোহাগ গুলশান থানা ছাত্রলীগ, মো. মহসিন ওরফে কাকরা মহসীন শ্রমিক লীগ, গুলশান থানা, মো. জামিল হোসেন যুবলীগ গুলশান থানা, মো. শহিদুল ইসলাম যুবলীগ গুলশান থানা, মো. আব্দুল হামিদ সহ-সভাপতি আওয়ামী ওলামালীগ গুলশান শাখাসহ আরো ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।