অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দেশ ছেড়ে পালালেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোববার  

উত্তেজনার মধ্যে ধেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালেজ। ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক উত্তেজনার একদিন পর তিনি দেশ ছেড়ে স্পেনে আশ্রয় নিয়েছেন।

রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রোদ্রিগেজ বলেন, রাজধানী কারাকাসে স্পেনের ‍দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে দেশটির সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এডমুন্ডো। কারাকাসও তাকে সেফ এক্সিট দিতে সম্মত হয়েছে।

ভেনেজুয়েলায় গত ২৮ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করে কমিশন। বিজয়ী ঘোষণার পর বিস্তারিত ফলাফল ঘোষণা না করায় অস্থিরতা দেখা দেয়। বিরোধী পক্ষের দাবি, নির্বাচনে মাদুরোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডমুন্ডো বিজয়ী হয়েছেন।

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোস মানুয়েল আলবারেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, এডমুন্ডো রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি স্প্যানিশ বিমানবাহিনীর বিমানে করে দেশ ছেড়েছেন। স্পেনের সরকার সমস্ত ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন এডমুন্ডো গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো। নিজ দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ দাবি করে মাদুরো বলেছিলেন, এবার যদি তিনি নির্বাচিত না হন, তাহলে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যাবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভোট গণনায় যাতে কোনো কারচুপি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সারা দেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে হাজার হাজার ‘সাক্ষী’ মোতায়েন করেছিল। কিন্তু তাদের ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় বলে দাবি করেছেন গঞ্জালেজ নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র।

দেশটির অনেক নাগরিকের দাবি, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার সুযোগে নির্বাহী বিভাগের পাশাপাশি আইন ও বিচার বিভাগের ওপর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে মাদুরোর দল। আর সেই প্রভাব নির্বাচনেও কাজে লাগিয়েছেন মাদুরো।

ভেনেজুয়েলায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়। ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রটি প্রতিটি ভোটের জন্য একটি কাগজের রসিদও প্রিন্ট করে, যা পরে একটি ব্যালট বাক্সে রাখা হয়। আইন অনুসারে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের রসিদ গণনার জন্য সাক্ষী পাঠাতে পারবে।

বিরোধীদের দাবি, রসিদ গণনার কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে ও মুদ্রিত রসিদের এক তৃতীয়াংশেরও কম অংশ বিরোধীদের সাক্ষীর সামনে আনা হয়েছে।